ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদের জঘন্যতা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সুদ বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ অর্থনৈতিক লেনদেনের একটি হারাম পন্থা। বিভিন্ন হাদিসের আলোকে কাউকে ঋণ দেয়ার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোনো লাভ গ্রহণ কিংবা কোনো দ্রব্য নগদ লেনদেন করার সময় কমবেশি করাই হচ্ছে সুদ। সুদের পরিচয় সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ঋণের বিনিময়ে মুনাফা গ্রহণ করা হয়, তা সুদ হিসেবে গণ্য হয়।’ (বুলুগুল মারাম : ৮৬১)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যদি কেউ কাউকে ঋণ দেয় তবে তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু বা অতিরিক্ত কিছুর শর্ত করবে না যদিও একমুষ্টি ঘাস হয়। কেননা তা সুদ। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৬১)। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোনো ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করল, অতঃপর তার জন্য হাদিয়া দিল তারপর সুপারিশকারী তা গ্রহণ করল, তাহলে সে সুদেরই এক বড় দরজায় উপনীত হলো।’ (বুলুগুল মারাম : ৮৪২)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, হজরত বিলাল (রা.) কিছু বরনী খেজুর (উন্নতমানের খেজুর) নিয়ে নবী (সা.) এর কাছে আসেন। নবী (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কোথায় পেলে? বিলাল (রা.) বলেন, আমাদের কাছে কিছু নিকৃষ্ট মানের খেজুর ছিল। নবী (সা.) কে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে তা দুই সা-এর বিনিময়ে এক সা কিনেছি। একথা শুনে নবী (সা.) বলেন, হায়! হায়! এটা তো একেবারে সুদ! এটা তো একেবারে সুদ! এরূপ করো না। যখন তুমি উৎকৃষ্ট খেজুর কিনতে চাও, তখন নিকৃষ্ট খেজুর ভিন্নভাবে বিক্রি করে দাও। তারপর সে মূল্যের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট খেজুর কিনে নাও। (বোখারি : ২৩১২; মুসলিম : ১৫৯৪)।

আল্লাহ-রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল
আল্লাহ তায়ালা সুদখোরের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি বাণী ঘোষণা করে বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যেসব বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ করো, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা করো, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।’ (সূরা বাকারা : ২৭৮ ও ২৭৯)।

সুদের সঙ্গে জড়িত সবাই অভিশপ্ত
রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদের সঙ্গে জড়িত সবার ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। হজরত জাবির (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সুদের দুই সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অভিশাপে তারা সবাই সমান।’ (মেশকাত : ২৮০৭)।

মায়ের সঙ্গে যেনা করার চেয়েও জঘন্য অপরাধ
যেনা করা একটি জঘন্য অপরাধ। যেনা করার অপরাধে ইসলাম বিবাহিতদের প্রস্তর খ- নিক্ষেপে হত্যা এবং অবিবাহিতদের ১০০ বেত্রাঘাত করার শাস্তি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সুদ খাওয়া যেনা করার চেয়ে ৩৬ থেকে ৭০ গুণ জঘন্য অপরাধ বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হানজালা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ৩৬ বার যেনা করার চেয়ে কঠিন পাপ হবে।’ (আহমাদ, মেশকাত : ২৮২৫)।
হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, সুদের গোনাহের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা ছোটটি হচ্ছে কোনো ব্যক্তি তার মায়ের সঙ্গে বিবাহ করার ন্যায় আর কোনো মুসলিম ভাই এর সম্মানহানি করা বড় ধরনের সুদের সমতুল্য (পাপ কাজ)। (ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারাম : ৮৩১)।

সুদ ধ্বংসকারী গোনাহ
হাদিসে বর্ণিত সাতটি জীবন-বিধ্বংসী গোনাহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুদ খাওয়া। সুদ বর্তমান বিশ্বে অর্থনীতির বাজার ধসের প্রধান কারণ। মানবজীবনে সুদের কুফল সুদূরপ্রসারী। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় হতে দূরে থাকবে। সাহাবিরা বলেন, সেগুলো কী? আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেনÑ ১. আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে শরিক করা, ২. জাদু করা, ৩. অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা করা, যা আল্লাহ হারাম করেছেন, ৪. সুদ খাওয়া, ৫. এতিমের মাল (অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা, ৬. জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া, ৭. সরলা নির্দোষ মোমিন মহিলাদের নামে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া।’ (মেশকাত : ৫২)।

সুদখোরের শাস্তি
সুদখোরের শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নযোগে সুদখোরের শাস্তি দেখানো হয়েছে। সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি, দুই ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম।
নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানে লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায়, তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খ- নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায়, ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হলো সুদখোর।’ (বোখারি : ২০৮৫)।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদের জঘন্যতা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সুদ বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ অর্থনৈতিক লেনদেনের একটি হারাম পন্থা। বিভিন্ন হাদিসের আলোকে কাউকে ঋণ দেয়ার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোনো লাভ গ্রহণ কিংবা কোনো দ্রব্য নগদ লেনদেন করার সময় কমবেশি করাই হচ্ছে সুদ। সুদের পরিচয় সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ঋণের বিনিময়ে মুনাফা গ্রহণ করা হয়, তা সুদ হিসেবে গণ্য হয়।’ (বুলুগুল মারাম : ৮৬১)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যদি কেউ কাউকে ঋণ দেয় তবে তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু বা অতিরিক্ত কিছুর শর্ত করবে না যদিও একমুষ্টি ঘাস হয়। কেননা তা সুদ। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক : ১৩৬১)। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোনো ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করল, অতঃপর তার জন্য হাদিয়া দিল তারপর সুপারিশকারী তা গ্রহণ করল, তাহলে সে সুদেরই এক বড় দরজায় উপনীত হলো।’ (বুলুগুল মারাম : ৮৪২)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, হজরত বিলাল (রা.) কিছু বরনী খেজুর (উন্নতমানের খেজুর) নিয়ে নবী (সা.) এর কাছে আসেন। নবী (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কোথায় পেলে? বিলাল (রা.) বলেন, আমাদের কাছে কিছু নিকৃষ্ট মানের খেজুর ছিল। নবী (সা.) কে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে তা দুই সা-এর বিনিময়ে এক সা কিনেছি। একথা শুনে নবী (সা.) বলেন, হায়! হায়! এটা তো একেবারে সুদ! এটা তো একেবারে সুদ! এরূপ করো না। যখন তুমি উৎকৃষ্ট খেজুর কিনতে চাও, তখন নিকৃষ্ট খেজুর ভিন্নভাবে বিক্রি করে দাও। তারপর সে মূল্যের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট খেজুর কিনে নাও। (বোখারি : ২৩১২; মুসলিম : ১৫৯৪)।

আল্লাহ-রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল
আল্লাহ তায়ালা সুদখোরের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি বাণী ঘোষণা করে বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যেসব বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ করো, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা করো, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।’ (সূরা বাকারা : ২৭৮ ও ২৭৯)।

সুদের সঙ্গে জড়িত সবাই অভিশপ্ত
রাসুলুল্লাহ (সা.) সুদের সঙ্গে জড়িত সবার ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। হজরত জাবির (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সুদের দুই সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অভিশাপে তারা সবাই সমান।’ (মেশকাত : ২৮০৭)।

মায়ের সঙ্গে যেনা করার চেয়েও জঘন্য অপরাধ
যেনা করা একটি জঘন্য অপরাধ। যেনা করার অপরাধে ইসলাম বিবাহিতদের প্রস্তর খ- নিক্ষেপে হত্যা এবং অবিবাহিতদের ১০০ বেত্রাঘাত করার শাস্তি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সুদ খাওয়া যেনা করার চেয়ে ৩৬ থেকে ৭০ গুণ জঘন্য অপরাধ বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হানজালা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ৩৬ বার যেনা করার চেয়ে কঠিন পাপ হবে।’ (আহমাদ, মেশকাত : ২৮২৫)।
হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, সুদের গোনাহের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা ছোটটি হচ্ছে কোনো ব্যক্তি তার মায়ের সঙ্গে বিবাহ করার ন্যায় আর কোনো মুসলিম ভাই এর সম্মানহানি করা বড় ধরনের সুদের সমতুল্য (পাপ কাজ)। (ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারাম : ৮৩১)।

সুদ ধ্বংসকারী গোনাহ
হাদিসে বর্ণিত সাতটি জীবন-বিধ্বংসী গোনাহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সুদ খাওয়া। সুদ বর্তমান বিশ্বে অর্থনীতির বাজার ধসের প্রধান কারণ। মানবজীবনে সুদের কুফল সুদূরপ্রসারী। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় হতে দূরে থাকবে। সাহাবিরা বলেন, সেগুলো কী? আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেনÑ ১. আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে শরিক করা, ২. জাদু করা, ৩. অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা করা, যা আল্লাহ হারাম করেছেন, ৪. সুদ খাওয়া, ৫. এতিমের মাল (অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা, ৬. জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া, ৭. সরলা নির্দোষ মোমিন মহিলাদের নামে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া।’ (মেশকাত : ৫২)।

সুদখোরের শাস্তি
সুদখোরের শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নযোগে সুদখোরের শাস্তি দেখানো হয়েছে। সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি, দুই ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম।
নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানে লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায়, তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খ- নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায়, ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হলো সুদখোর।’ (বোখারি : ২০৮৫)।