বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চলতি বছরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা শেষ হয়েছে রোববার। এ সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কোটা এক লাখ ২৩ হাজার ৩৪০ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ জন। অর্থাৎ এখনও ২০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি রয়েছে।
কোটার বাইরে থাকা প্রাক-নিবন্ধিতদের ক্রমানুসারে এবার নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার খবর পাওয়া যায়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস সূত্র জানায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ এবং বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। হজে যাওয়ার জন্য হজ অফিসের মাধ্যমে আগে থেকেই প্রাক-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রাক-নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে কোটা অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যককে এখন মূল নিবন্ধন করতে হচ্ছে।
১ মার্চ থেকে সরকারি এবং ৬ মার্চ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর উভয় ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয় ১ এপ্রিল।
সূত্রমতে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রীর কোটার মধ্যে গাইড ও হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ৩ হাজার ৪০০ প্রাকনিবন্ধন ছাড়াই সরাসরি নিবন্ধিত হতে পারবেন। সে হিসেবে এ ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জনকে নিবন্ধন করতে হবে।
এছাড়া সরকারি ব্যবস্থাপনার ৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে গাইড ও রাষ্ট্রীয় খরচের হজযাত্রী-মোনাজ্জেমদের সংরক্ষিত কোটা বাদে ৬ হাজার ৭৪০ জনকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন বিষয়ে হজ অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন (রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে)।
সূত্রমতে, বেসরকারি কোটায় ৯৬ হাজার ৪২৭ এবং সরকারি কোটায় ৫ হাজার ৯১৪ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি কোটায় ৭৪৬ এবং সরকারি কোটায় ৪৩ জনের নিবন্ধনের জন্য পেন্ডিং ভাউচার রয়েছে।
হজ অফিসের আইটি কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, পূর্বনির্ধারিত সময় শেষে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, তবে প্রাক-নিবন্ধন যথারীতি চলবে।
নিবন্ধনের সংখ্যা গণনা শেষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করা হবে। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। তবে সৌদি আরবের তাগাদা অনুযায়ী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এ বছরের হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রোববার রাতে হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সময় না বাড়লে প্রাক-নিবন্ধিত তালিকা থেকে ক্রমানুসারে প্রয়োজনীয় সংখ্যককে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে ২২ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজযাত্রীদের নিবন্ধনের মেয়াদ ২২ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এ মেয়াদ চূড়ান্তভাবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। উল্লেখিত তারিখের পর হজ ও ওমরাহ নীতির-১৪৩৯ হিজরি-২০১৮ খ্রি. এর ৩.১.৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরবর্তী ক্রমিক থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। সে ক্ষেত্রে পূর্বঘোষিত ক্রমিকের প্রাক-নিবন্ধিত আর কেউ নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন না।