ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

রেকর্ড গড়ে ১০ জনের মায়ামিকে জেতালেন আলবা

ডিফেন্ডার হলেও দুই দশকের ক্যারিয়ারে স্ট্রাইকারদের গোল করানোয় সুনাম রয়েছে জর্দি আলবার। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই লেফট ব্যাক আজ গোল করিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন।

ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ গোলে অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়েছেন আলবা। নিজের প্রথমের সঙ্গে লিগস কাপের ইতিহাসেও এটি প্রথম।

এর আগে কোনো খেলোয়াড় অ্যাসিস্টের ‘ডাবল হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। তার এমন দুর্দান্ত রেকর্ডের দিনে টরেন্টো এফসির বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি।রোমাঞ্চের মাত্রা আরো বেড়ে যায় যখন প্রতিপক্ষের ১০ জন নিয়েও ম্যাচে জয় পায় মায়ামি। এ জয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মায়ামির ডিফেন্ডার ডেভিড মার্তিনেজ। তার মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল মায়ামি। তাই শেষ ৬৩ মিনিট একজন কম নিয়ে খেললেও খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি আলবা-লুইস সুয়ারেজদের।ম্যাচের ২০ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মায়ামি।

তিন অ্যাসিস্টেই অবদান আলবার। শেষে অ্যাসিস্টের ডাবল হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৫৯ মিনিটে। শুরু এবং শেষ দুটিই করেন মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাকে দিয়ে। ৩ মিনিটের পর ডিয়েগো গোমেজকে দিয়ে ১১ মিনিটে গোল করান আলবা। আর ২০ মিনিটে করান সাবেক বার্সালোনার সতীর্থ সুয়ারেজকে দিয়ে।
অন্যদিকে ব্যবধান কমানোর তিনটি  গোলই বলা যায় মায়ামির ‘উপহার’। দুটি পেনাল্টির সঙ্গে এক আত্মঘাতী গোল পেয়েছে টরেন্টো। মায়ামির হয়ে ৭৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলটি করেছেন বদলি ডিফেন্ডার নোয়াহ অ্যালেন। এর আগে ১১ ও ৪১ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করেন ইতালির ফরোয়ার্ড লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। শেষ  ষোলোয় মায়ামির প্রতিপক্ষ হবে কলম্বাস ক্রু এবং স্পোর্টিং কানাস সিটির মধ্যে জয়ী দল।

চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলতে না পারা লিওনেল মেসি সতীর্থের এমন রেকর্ড দেখছেন পরিবারসহ গ্যালারিতে বসে। রেকর্ড গড়ে ভীষণ খুশি আলবা। সাবেক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেছেন,‘বার্সেলোনায় খেলার সময় এক ম্যাচে ৩ অ্যাসিস্ট করার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্ত আজ, চার গোলে করেছি। আমি আরো দুটি পেতে পারতাম, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে অ্যাটাক এবং অ্যাসিস্ট করতে পছন্দ করি। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এমনটা করে আসছি। এটার করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রেকর্ড গড়ে ১০ জনের মায়ামিকে জেতালেন আলবা

আপডেট টাইম : ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
ডিফেন্ডার হলেও দুই দশকের ক্যারিয়ারে স্ট্রাইকারদের গোল করানোয় সুনাম রয়েছে জর্দি আলবার। নিজের সময়ের অন্যতম সেরা এই লেফট ব্যাক আজ গোল করিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন।

ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ গোলে অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড গড়েছেন আলবা। নিজের প্রথমের সঙ্গে লিগস কাপের ইতিহাসেও এটি প্রথম।

এর আগে কোনো খেলোয়াড় অ্যাসিস্টের ‘ডাবল হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। তার এমন দুর্দান্ত রেকর্ডের দিনে টরেন্টো এফসির বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি।রোমাঞ্চের মাত্রা আরো বেড়ে যায় যখন প্রতিপক্ষের ১০ জন নিয়েও ম্যাচে জয় পায় মায়ামি। এ জয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মায়ামির ডিফেন্ডার ডেভিড মার্তিনেজ। তার মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল মায়ামি। তাই শেষ ৬৩ মিনিট একজন কম নিয়ে খেললেও খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি আলবা-লুইস সুয়ারেজদের।ম্যাচের ২০ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মায়ামি।

তিন অ্যাসিস্টেই অবদান আলবার। শেষে অ্যাসিস্টের ডাবল হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৫৯ মিনিটে। শুরু এবং শেষ দুটিই করেন মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাকে দিয়ে। ৩ মিনিটের পর ডিয়েগো গোমেজকে দিয়ে ১১ মিনিটে গোল করান আলবা। আর ২০ মিনিটে করান সাবেক বার্সালোনার সতীর্থ সুয়ারেজকে দিয়ে।
অন্যদিকে ব্যবধান কমানোর তিনটি  গোলই বলা যায় মায়ামির ‘উপহার’। দুটি পেনাল্টির সঙ্গে এক আত্মঘাতী গোল পেয়েছে টরেন্টো। মায়ামির হয়ে ৭৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলটি করেছেন বদলি ডিফেন্ডার নোয়াহ অ্যালেন। এর আগে ১১ ও ৪১ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করেন ইতালির ফরোয়ার্ড লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। শেষ  ষোলোয় মায়ামির প্রতিপক্ষ হবে কলম্বাস ক্রু এবং স্পোর্টিং কানাস সিটির মধ্যে জয়ী দল।

চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলতে না পারা লিওনেল মেসি সতীর্থের এমন রেকর্ড দেখছেন পরিবারসহ গ্যালারিতে বসে। রেকর্ড গড়ে ভীষণ খুশি আলবা। সাবেক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেছেন,‘বার্সেলোনায় খেলার সময় এক ম্যাচে ৩ অ্যাসিস্ট করার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্ত আজ, চার গোলে করেছি। আমি আরো দুটি পেতে পারতাম, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে অ্যাটাক এবং অ্যাসিস্ট করতে পছন্দ করি। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এমনটা করে আসছি। এটার করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’