শেষ পর্যন্ত ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ড্র করল রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের মাঠে লা লিগার ম্যাচটির স্কোর ২-২ গোল। এর আগেও কাকতালীয়ভাবে জানুয়ারিতে গত আসরে প্রথমবার মুখোমুখি হয়ে একই স্কোর করেছিল রিয়াল।
খেলার প্রথম দিকে গোল খেয়ে রীতিমতো হারের শঙ্কায় পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে প্রথমার্ধে দলকে সমতায় ফেরানো গ্যারেথ খেলার শেষের দিকে আরেকটি গোল করে মুখ রক্ষা করে রিয়ালের। এতে সমান সমান হয়ে যায় উভয় দলের স্কোর।
ম্যচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝ মাঠে সের্হিও রামোসের ভুলে বল পেয়ে জেরার্দ মোরেনো এগিয়ে গিয়ে ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে ডি-বক্সে সতীর্থকে পাস দেন। ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড তোকো একাম্বির দুর্বল শট গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ঠেকালেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বলটি সহজেই জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মোরেনো। গোল খেয়ে পিছিয়ে যায় রিয়াল।
খেলার ৩২তম মিনিটে সুযোগ এসেছিল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের ক্রসে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন কাসেমিরো। কিন্তু শেষটায় পাশের জালে গিয়ে ঠেকে ভাসকেসের বল।
৪৫তম মিনিটে একটি সুযোগ ছিল। সে সময় করিম বেনজেমার জোরালো শট পোস্টে লাগলে আবারও গোলবঞ্চিত হয় অতিথিরা।
তবে এর পরের সুযোগটি আর মিস করেনি রিয়াল। ডান দিকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দানি কারভাহালের বাড়ানো বল গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যে পাঠান ওয়েলসের ফরোয়ার্ড বেল। এতে বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোল দিয়ে সমতায় ফেরে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি ভালো সুযোগ পায় রিয়াল। তবে গোলরক্ষক আন্দ্রেস ফের্নান্দেস দুটি গোলই আটকে দেন। ৬০তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইড শনাক্ত করে তা বাতিল হয়।
৭৫তম মিনিটে হাভিয়েরের গোলমুখে বাড়ানো বল টোকা দিয়ে ঠিকানায় পাঠান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মোই গোমেস। ফলে আবারও গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল।
খারের শঙ্কায় রিয়াল ভক্তদের কপালে যখন ভাঁজ পড়েছে তখন ৮৬তম মিনিটে গোলের দেখা পায় রিয়াল। লুকা মদ্রিচের পাস ডি-বক্সে পেয়ে এক জনকে কাটিয়ে নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বেল। এরপর আর গোল না হলেও শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে উভয় দল।