ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আসলামের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তবে গোপনে নয়: মেনদি

ইসরায়েলি রাজনীতিক মেনদি এন সাফাদি স্বীকার করেছেন যে ভারতে তার সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সঙ্গেই দাবি করেছেন তাদের মধ্যে কোনো গোপন বিষয়ে কথা হয়নি।

ইসরায়েল থেকে টেলিফোনে বিবিসিকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এগুলো সবাই জানেন – আমরা দুজনে সে সব নিয়েই কথা বলেছি, তাও সেটা একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। আমরা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিলাম বা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলাম এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতেই পারে না।’

তিনি আরও দাবি করেছেন যে “সরকার ফেলার চক্রান্ত একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে করা হচ্ছে – তারপর আবার চক্রান্তকারীরা হাসিমুখে তাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, এ জিনিস কোথাও আবার হয় না কি?”

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে মি. চৌধুরীকে গতকাল রবিবার ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

মি সাফাদি, যিনি ইদানীং বেশ ঘন ঘনই ভারতে আসেন, তিনি বিবিসি বলেন, আগ্রার যে অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর সম্প্রতি দেখা হয়েছিল তাতে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র যুব শাখা।

প্রতিবেশী দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসলাম চৌধুরীও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। দুজনের আগে থেকে কোনও পরিচয়ও ছিল না – একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই অতিথি হিসেবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ হয়েছিল মাত্র।

“আসলাম চৌধুরীকে আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি না। উনি কি কাউকে হত্যা করেছেন? উনি শুধু ভারতে এসে একজন ইসরায়েলির সঙ্গে কথা বলেছেন।”

মি সাফাদি বলেন, মি চৌধুরী তার দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন বলেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে তার ধারণা।

বাংলাদেশে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে তাকে যে মোসাদের গুপ্তচর বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে সে সম্পর্কেও মি সাফাদি পুরোপুরি অবহিত।

এ ব্যাপারে সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাকে এমন একজন গুপ্তচর দেখান যিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার গতিবিধি ফেসবুকে পোস্ট করেন, সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান – সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়ান। এরপরও কেউ আমাকে যদি গুপ্তচর মনে করেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।”

মি সাফাদি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়টি তাকে বিচলিত করে। “আমি সারা পৃথিবীতেই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলি, তাদের জন্য লড়ি – বাংলাদেশও তার কোনও ব্যতিক্রম নয়।”

তার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কতগুলো পোস্টিং রয়েছে।

আসলাম চৌধুরীর আটক নিয়ে ইসরায়েলের একটি নিউজ সাইটে প্রকাশিত একটি খবরও ঐ ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আসলামের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তবে গোপনে নয়: মেনদি

আপডেট টাইম : ০৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬
ইসরায়েলি রাজনীতিক মেনদি এন সাফাদি স্বীকার করেছেন যে ভারতে তার সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সঙ্গেই দাবি করেছেন তাদের মধ্যে কোনো গোপন বিষয়ে কথা হয়নি।

ইসরায়েল থেকে টেলিফোনে বিবিসিকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এগুলো সবাই জানেন – আমরা দুজনে সে সব নিয়েই কথা বলেছি, তাও সেটা একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। আমরা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিলাম বা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলাম এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতেই পারে না।’

তিনি আরও দাবি করেছেন যে “সরকার ফেলার চক্রান্ত একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে করা হচ্ছে – তারপর আবার চক্রান্তকারীরা হাসিমুখে তাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, এ জিনিস কোথাও আবার হয় না কি?”

বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে মি. চৌধুরীকে গতকাল রবিবার ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

মি সাফাদি, যিনি ইদানীং বেশ ঘন ঘনই ভারতে আসেন, তিনি বিবিসি বলেন, আগ্রার যে অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর সম্প্রতি দেখা হয়েছিল তাতে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র যুব শাখা।

প্রতিবেশী দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসলাম চৌধুরীও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। দুজনের আগে থেকে কোনও পরিচয়ও ছিল না – একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই অতিথি হিসেবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ হয়েছিল মাত্র।

“আসলাম চৌধুরীকে আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি না। উনি কি কাউকে হত্যা করেছেন? উনি শুধু ভারতে এসে একজন ইসরায়েলির সঙ্গে কথা বলেছেন।”

মি সাফাদি বলেন, মি চৌধুরী তার দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন বলেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে তার ধারণা।

বাংলাদেশে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে তাকে যে মোসাদের গুপ্তচর বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে সে সম্পর্কেও মি সাফাদি পুরোপুরি অবহিত।

এ ব্যাপারে সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাকে এমন একজন গুপ্তচর দেখান যিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার গতিবিধি ফেসবুকে পোস্ট করেন, সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান – সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়ান। এরপরও কেউ আমাকে যদি গুপ্তচর মনে করেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।”

মি সাফাদি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়টি তাকে বিচলিত করে। “আমি সারা পৃথিবীতেই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলি, তাদের জন্য লড়ি – বাংলাদেশও তার কোনও ব্যতিক্রম নয়।”

তার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পাতায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কতগুলো পোস্টিং রয়েছে।

আসলাম চৌধুরীর আটক নিয়ে ইসরায়েলের একটি নিউজ সাইটে প্রকাশিত একটি খবরও ঐ ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা হয়েছে।