ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলনে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ বরখাস্ত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় এএসআই আমির হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পরেই তাদের ক্লোজ করা হয়। পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১ অগাস্ট তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রংপুর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই দুপুরে রংপুরে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টার দিকে জেলা স্কুল মোড়ে থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে লালবাগ খামার মোড়ে শিক্ষার্থীদের আরেকটি মিছিল তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

পরে মিছিলটি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে।

এসময় সেখানে থাকা ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে পুলিশের সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আবু সাঈদসহ পুলিশ ও বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে হাসপাতালে আনার আগেই গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

নিহত আবু সাঈদ (২৫) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। সাঈদ কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানান সহপাঠীরা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কোটা আন্দোলনে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে গুলিতে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় এএসআই আমির হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পরেই তাদের ক্লোজ করা হয়। পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১ অগাস্ট তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রংপুর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই দুপুরে রংপুরে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টার দিকে জেলা স্কুল মোড়ে থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে লালবাগ খামার মোড়ে শিক্ষার্থীদের আরেকটি মিছিল তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

পরে মিছিলটি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে।

এসময় সেখানে থাকা ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে পুলিশের সঙ্গেও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আবু সাঈদসহ পুলিশ ও বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হন।

আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে হাসপাতালে আনার আগেই গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

নিহত আবু সাঈদ (২৫) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। সাঈদ কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানান সহপাঠীরা।