ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

বাবুল আক্তারের কর্মস্থলে যোগদান করা না-করা নিয়ে নাটক

পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের চাকরি নিয়ে রহস্যের নিরসন হয়নি। দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্ত্রী নিহত হওয়ার ৩৮ দিন পর বুধবার তিনি পুলিশ সদর দফতরে গেলেও চাকরিতে যোগদান করেননি। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সদর দফতরে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। এর পর নিভৃতেই সেখান থেকে চলে যান। দীর্ঘদিন পর তিনি কাজে যোগ দিচ্ছেন- এমন খবর শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

 

এদিকে বাবুল আক্তারের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করা না-করা নিয়ে বুধবার পুলিশ সদর দফতরে দিনভর চলে এক ধরনের নাটক। আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তার কর্মস্থলে যোগদানের সম্ভাবনার খবরে মিডিয়াকর্মীরাও জড়ো হন সদর দফতরে। দু-একটি অনলাইন মিডিয়া ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাবুল আক্তারের যোগদানের খবরটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে প্রচার শুরু করে। তবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) একেএম শহিদুর রহমান বলেন, এসপি বাবুল আক্তার বুধবার কর্মস্থলে যোগ দেননি। আর এর মধ্য দিয়ে এ নিয়ে দিনভর চলতে থাকা আলোচনার অবসান ঘটে।

 

অন্যদিকে এ বিষয়ে এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার শ্বশুর মোশারফ হোসেনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন পর এসপি বাবুলের কর্মস্থলে যাওয়া এবং যোগদান না করেই ফিরে আসার বিষয়টি অবশ্য অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এসপি বাবুল আক্তার যে পুলিশ সদর দফতরে গিয়েছিলেন সেটা তার নলেজে আছে। তবে তার কাজে যোগদানের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাবুল আক্তারের কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’

 

এদিকে বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা মোশাররফ বলেন, সকাল ১০টার কিছু পর তার ভগ্নিপতি পুলিশ সদর দফতরে যাওয়ার কথা বলে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ার বাসা থেকে বের হন। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি আবার বাসায় ফিরে আসেন।

 

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাদা পোশাকে সদর দফতরে আসেন বাবুল আক্তার। তিনি অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি পদমর্যাদার দু’জন কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পরে তিনি প্রশাসন শাখায় গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা অবস্থানের পর পুরনো ভবনের পেছনের গেট দিয়ে তিনি সদর দফতর ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর দফতরের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের একজন কনস্টেবল হাফিজ।

 

বাংলাদেশ পুলিশের ২৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে ব্যাপক প্রশংসিত হন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার। চাকরিজীবনের বেশিরভাগ সময় চট্টগ্রামেই কাটান তিনি। সর্বশেষ এসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে পুলিশ সদর দফতরে বদলি করা হয়।

 

নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে ঢাকায় অবস্থানকালে গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মিতু আক্তার। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। স্ত্রী নিহত হওয়ার পর থেকেই তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ায় তার শ্বশুরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ২৪ জুন গভীর রাতে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে। তখন থেকেই এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিতর্ক চলে আসছে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর তাকে শ্বশুরের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

 

এরপর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও বাবুল আক্তার কর্মস্থলে না ফেরায় প্রশ্ন দেখা দেয়, তিনি কি এখনও ছুটিতে আছেন নাকি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন- কারও কাছ থেকেই এ প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব না আসায় এ নিয়ে কৌতূহল বাড়তেই থাকে। এর মধ্যে গত ২১ জুলাই চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, বাবুল আক্তারের চাকরি এখনও আছে। তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে তিনি কর্মস্থলে আসছেন না। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখছেন না।

 

অন্যদিকে সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি অনুযায়ী একনাগাড়ে কেউ দু’মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ওই কর্মকর্তার নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে আচরণবিধি লংঘনের দায়ে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এতে চাকরিও চলে যেতে পারে। এমন বাস্তবতার মধ্যে ৩৮ দিন পর কর্মস্থলে গিয়েও কাজে যোগদান না করেই ফিরে গেলেন পুলিশের আলোচিত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

বাবুল আক্তারের কর্মস্থলে যোগদান করা না-করা নিয়ে নাটক

আপডেট টাইম : ০৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৬
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের চাকরি নিয়ে রহস্যের নিরসন হয়নি। দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্ত্রী নিহত হওয়ার ৩৮ দিন পর বুধবার তিনি পুলিশ সদর দফতরে গেলেও চাকরিতে যোগদান করেননি। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সদর দফতরে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। এর পর নিভৃতেই সেখান থেকে চলে যান। দীর্ঘদিন পর তিনি কাজে যোগ দিচ্ছেন- এমন খবর শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

 

এদিকে বাবুল আক্তারের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করা না-করা নিয়ে বুধবার পুলিশ সদর দফতরে দিনভর চলে এক ধরনের নাটক। আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তার কর্মস্থলে যোগদানের সম্ভাবনার খবরে মিডিয়াকর্মীরাও জড়ো হন সদর দফতরে। দু-একটি অনলাইন মিডিয়া ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাবুল আক্তারের যোগদানের খবরটি ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে প্রচার শুরু করে। তবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) একেএম শহিদুর রহমান বলেন, এসপি বাবুল আক্তার বুধবার কর্মস্থলে যোগ দেননি। আর এর মধ্য দিয়ে এ নিয়ে দিনভর চলতে থাকা আলোচনার অবসান ঘটে।

 

অন্যদিকে এ বিষয়ে এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার শ্বশুর মোশারফ হোসেনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন পর এসপি বাবুলের কর্মস্থলে যাওয়া এবং যোগদান না করেই ফিরে আসার বিষয়টি অবশ্য অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এসপি বাবুল আক্তার যে পুলিশ সদর দফতরে গিয়েছিলেন সেটা তার নলেজে আছে। তবে তার কাজে যোগদানের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাবুল আক্তারের কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না।’

 

এদিকে বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা মোশাররফ বলেন, সকাল ১০টার কিছু পর তার ভগ্নিপতি পুলিশ সদর দফতরে যাওয়ার কথা বলে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ার বাসা থেকে বের হন। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি আবার বাসায় ফিরে আসেন।

 

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাদা পোশাকে সদর দফতরে আসেন বাবুল আক্তার। তিনি অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি পদমর্যাদার দু’জন কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পরে তিনি প্রশাসন শাখায় গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা অবস্থানের পর পুরনো ভবনের পেছনের গেট দিয়ে তিনি সদর দফতর ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর দফতরের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের একজন কনস্টেবল হাফিজ।

 

বাংলাদেশ পুলিশের ২৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে ব্যাপক প্রশংসিত হন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার। চাকরিজীবনের বেশিরভাগ সময় চট্টগ্রামেই কাটান তিনি। সর্বশেষ এসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে পুলিশ সদর দফতরে বদলি করা হয়।

 

নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে ঢাকায় অবস্থানকালে গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মিতু আক্তার। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। স্ত্রী নিহত হওয়ার পর থেকেই তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ায় তার শ্বশুরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ২৪ জুন গভীর রাতে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে। তখন থেকেই এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিতর্ক চলে আসছে। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর তাকে শ্বশুরের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

 

এরপর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও বাবুল আক্তার কর্মস্থলে না ফেরায় প্রশ্ন দেখা দেয়, তিনি কি এখনও ছুটিতে আছেন নাকি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন- কারও কাছ থেকেই এ প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব না আসায় এ নিয়ে কৌতূহল বাড়তেই থাকে। এর মধ্যে গত ২১ জুলাই চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, বাবুল আক্তারের চাকরি এখনও আছে। তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে তিনি কর্মস্থলে আসছেন না। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখছেন না।

 

অন্যদিকে সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি অনুযায়ী একনাগাড়ে কেউ দু’মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ওই কর্মকর্তার নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে আচরণবিধি লংঘনের দায়ে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এতে চাকরিও চলে যেতে পারে। এমন বাস্তবতার মধ্যে ৩৮ দিন পর কর্মস্থলে গিয়েও কাজে যোগদান না করেই ফিরে গেলেন পুলিশের আলোচিত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার।