পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের অনেক অর্জন রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক শীর্ষ জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে, অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। কাজেই জঙ্গিদের যে শক্তি ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে এমন দাবি করছি না। তাদের কিছু অনুসারী আছে যাদের বিক্ষিপ্তভাবে প্রচেষ্টা চালাতে পারে।
শনিবার বিকালে গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত জঙ্গিবাদ নাশকতা ও মাদকবিরোধী ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।
শহীদুল হক বলেন, ‘তামিম নিজেকে আইএস দাবি করতেন। এছাড়া আনসার আল ইসলাম, হিযবুত তাহরীসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন আছে যারা তেমন শক্তিশালী না। তারা বাংলাদেশে কোনো বড় ধরনের নাশকতা করতে পারবে বলে মনে হয় না।’
সমাবেশে আইজিপি বলেন, ‘তামিমেরা মাদ্রাসায় পড়েননি। তারা অতি আধুনিক সংস্কৃতিতে চলাফেরা করেছে। শনিবার নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সদস্যরা তামিমদের ঘেরাও করে ফেলেছিল। তাদেরকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল আত্মসমর্পণের জন্য। তাদের কাছে অস্ত্র ছিল। তারা সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। আত্মসমর্পণ না করায় আমাদের পুলিশ বাহিনীও মৃত্যুঝুঁকিতে ছিল। পরে তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। অবশেষে তারা মৃত্যুবরণ করেছে।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘জঙ্গিরা গ্রেপ্তারের পর তারা ইসলাম বাঁচাতে মানুষ হত্যার কথা বলেছে। তারা বলেছে মৃত্যুর পর তারা বেহেশতে যাবে। নারী জঙ্গিরাও একই কথা বলেছে। তারা সবাই ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা পেয়েছে।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক এসএম মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর হারুন অর রশিদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সমাবেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলেম-ওলামা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।