ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে আ.লীগের সমাবেশে শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (কাঠালিয়া- রাজাপুর) আসনে আওয়মী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী ব্যরিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগের এক সমাবেশে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজীর হাতে দুই নাল ওয়ালা একটি বন্দুক বহন করতে দেখে গেছে। এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে। বন্দুকটি শাহজাহান ওমরের বলে জানাগেছে। তবে এব্যাপারে কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। ‘শাহজাহান ওমর অথবা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে স্বশরিরে এসে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন ও প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী প্রচারনা চালানের ব্যখ্যা দিতে ব্যখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। সোমবার সকাল ১১ টায় কাঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে পরিচয় করান। সমাবেশে শাহজাহান ওমরের বাম পাশে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন কবির হাওলাদার চেয়ারে বসা ছিলেন। অপরদিকে ডান পাশে দাড়িয়ে ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল বাসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন। নির্বাচনী সভায় শাহজাহান ওমর বলেন-“কাঠালিয়া আওয়ামীলীগের কোন গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুনলীগ, কিবরিয়ালীগ, বুড়ালীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ”।  তিনি আরও বলেন-“আমি এবং বিএনপি’র দলবলসহ আপনাদের মেহমান” আমদের বরণ করে নিবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান করলে আপনাদেরকেও সম্মান করবো”। সমাবেশ শেষে তিনি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। আগামী ১১ ডিসেম্বরের পরে আবার দেখা হবে বলে জানান। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফুলের তোরা নিয়ে আসলেও শাহজাহান ওমরকে ফুল দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল সালেহ বলেন, বৈধ অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে যেতে পারবেনা এমন কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে আ’লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমরকে কারন দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির প্রধান ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ড স্বাক্ষরিত চিঠিতে ‘শাহজাহান ওমর অথবা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে স্বশরিরে এসে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন ও প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী প্রচারনা চালানের ব্যখ্যা দিতে ব্যখ্যা দিতে বলেছেন’। আগ্নেয়অস্ত্র হাতে নিয়ে বসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী বলেন, আগ্নেয়অস্ত্রটি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের লাইসেন্সক্রীত বৈধ ছিলো। তিনি থানার অনুমতি নিয়ে তিনি কাঁঠালিয়া আসছেন তখন কাঁঠালিয়া থানার ওসিও এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমার কাছে অস্ত্র’টি রাখতে বলায় আমি আমার হাতে রাখছি। তার সাথে আরো একটি লাইসেন্সকৃত পিস্তলও ছিলো। এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সহ ওই জনসমাবেশ কোন পুলিশ উপস্থিত ছিলো না। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা ডিউটি’তে ছিলো। আইনগত ভাবে তিনি অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশ করতে পারেন না। এ ব্যপারে ঝালকাঠি-১ আসনের আ’লীগের প্রার্থী ব্যারিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বলেন, কারন দর্শানোর কোন চিঠি আমি পাইনি। পেলে কি বিষয়ে কারন দর্শানো হয়েছে দেখব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে আ.লীগের সমাবেশে শাহজাহান ওমর

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ঝালকাঠি-১ (কাঠালিয়া- রাজাপুর) আসনে আওয়মী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী ব্যরিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগের এক সমাবেশে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজীর হাতে দুই নাল ওয়ালা একটি বন্দুক বহন করতে দেখে গেছে। এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে। বন্দুকটি শাহজাহান ওমরের বলে জানাগেছে। তবে এব্যাপারে কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। ‘শাহজাহান ওমর অথবা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে স্বশরিরে এসে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন ও প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী প্রচারনা চালানের ব্যখ্যা দিতে ব্যখ্যা দিতে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। সোমবার সকাল ১১ টায় কাঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে পরিচয় করান। সমাবেশে শাহজাহান ওমরের বাম পাশে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন কবির হাওলাদার চেয়ারে বসা ছিলেন। অপরদিকে ডান পাশে দাড়িয়ে ছিলেন কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম কিবরিয়া সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল বাসার বাদশা, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদ হোসেন রিপন। নির্বাচনী সভায় শাহজাহান ওমর বলেন-“কাঠালিয়া আওয়ামীলীগের কোন গ্রুপিং থাকতে পারবে না। এখানে তরুনলীগ, কিবরিয়ালীগ, বুড়ালীগ ও বাচ্চা লীগ থাকতে পারবে না। এখানে থাকবে শুধু শেখ হাসিনা গ্রুপ”।  তিনি আরও বলেন-“আমি এবং বিএনপি’র দলবলসহ আপনাদের মেহমান” আমদের বরণ করে নিবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান করলে আপনাদেরকেও সম্মান করবো”। সমাবেশ শেষে তিনি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। আগামী ১১ ডিসেম্বরের পরে আবার দেখা হবে বলে জানান। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফুলের তোরা নিয়ে আসলেও শাহজাহান ওমরকে ফুল দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল সালেহ বলেন, বৈধ অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে যেতে পারবেনা এমন কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে আ’লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমরকে কারন দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির প্রধান ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ড স্বাক্ষরিত চিঠিতে ‘শাহজাহান ওমর অথবা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিকে স্বশরিরে এসে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন ও প্রতীক বরাদ্ধের আগেই নির্বাচনী প্রচারনা চালানের ব্যখ্যা দিতে ব্যখ্যা দিতে বলেছেন’। আগ্নেয়অস্ত্র হাতে নিয়ে বসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী বলেন, আগ্নেয়অস্ত্রটি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের লাইসেন্সক্রীত বৈধ ছিলো। তিনি থানার অনুমতি নিয়ে তিনি কাঁঠালিয়া আসছেন তখন কাঁঠালিয়া থানার ওসিও এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমার কাছে অস্ত্র’টি রাখতে বলায় আমি আমার হাতে রাখছি। তার সাথে আরো একটি লাইসেন্সকৃত পিস্তলও ছিলো। এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সহ ওই জনসমাবেশ কোন পুলিশ উপস্থিত ছিলো না। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা ডিউটি’তে ছিলো। আইনগত ভাবে তিনি অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশ করতে পারেন না। এ ব্যপারে ঝালকাঠি-১ আসনের আ’লীগের প্রার্থী ব্যারিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বলেন, কারন দর্শানোর কোন চিঠি আমি পাইনি। পেলে কি বিষয়ে কারন দর্শানো হয়েছে দেখব।