ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে ৬২ সেনাকে হত্যা, আরও ঘাঁটি দখলে নিল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারজুড়ে চলমান সংঘাতে গত তিন দিনে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর কাছে কয়েকটি সেনা ঘাঁটি এবং ৬২ জন সেনা হারিয়েছে জান্তা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজ।

দখল হওয়া ঘাঁটিগুলো মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচীন ও কারেন প্রদেশ অবস্থিত। কতগুলো ঘাঁটি বিদ্রোহীরা দখলে নিয়েছে, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জান্তাবিরোধী ২ সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপল’স ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইআও) এই সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

জান্তার পক্ষ থেকে এখনো এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে ইরাবতী জানিয়েছে, পিডিএফ এবং ইআওর গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এই সংবাদমাধ্যমটির।

দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা জানিয়েছেন, গত বছর মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছিল পিডিএফ এবং ইআও জোট। সেই এলাকাগুলো ফের দখল করার জন্য জানুয়ারির শেষদিকে অভিযান শুরু করেছিল জান্তা এবং জান্তা সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করতেও সক্ষম হয়েছিল জান্তা এবং জান্তা সমর্থক একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। কিন্তু গত তিন দিনে জান্তার পুনর্দখল করা এলাকাগুলো থেকে সেনা সদস্য ও জান্তাপন্থীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিএফ ও ইআওর নেতারা।

সবচেয়ে বেশি সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন মান্দালয় জেলার সান পিয়া এবং কারেন প্রদেশের থান্ডুয়াঙ্গি শহরে। পিডিএফ জানিয়েছে, এ দুই এলাকায় জান্তা-বিদ্রোহী সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন সেনা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মিয়ানমারে ৬২ সেনাকে হত্যা, আরও ঘাঁটি দখলে নিল বিদ্রোহীরা

আপডেট টাইম : ০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারজুড়ে চলমান সংঘাতে গত তিন দিনে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর কাছে কয়েকটি সেনা ঘাঁটি এবং ৬২ জন সেনা হারিয়েছে জান্তা।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজ।

দখল হওয়া ঘাঁটিগুলো মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচীন ও কারেন প্রদেশ অবস্থিত। কতগুলো ঘাঁটি বিদ্রোহীরা দখলে নিয়েছে, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জান্তাবিরোধী ২ সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপল’স ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইআও) এই সংঘাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

জান্তার পক্ষ থেকে এখনো এ ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে ইরাবতী জানিয়েছে, পিডিএফ এবং ইআওর গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এই সংবাদমাধ্যমটির।

দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতারা জানিয়েছেন, গত বছর মিয়ানমারের সাগাইং, ম্যাগউই, মান্দালয় জেলা এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছিল পিডিএফ এবং ইআও জোট। সেই এলাকাগুলো ফের দখল করার জন্য জানুয়ারির শেষদিকে অভিযান শুরু করেছিল জান্তা এবং জান্তা সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করতেও সক্ষম হয়েছিল জান্তা এবং জান্তা সমর্থক একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। কিন্তু গত তিন দিনে জান্তার পুনর্দখল করা এলাকাগুলো থেকে সেনা সদস্য ও জান্তাপন্থীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিডিএফ ও ইআওর নেতারা।

সবচেয়ে বেশি সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন মান্দালয় জেলার সান পিয়া এবং কারেন প্রদেশের থান্ডুয়াঙ্গি শহরে। পিডিএফ জানিয়েছে, এ দুই এলাকায় জান্তা-বিদ্রোহী সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন সেনা।