ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩৬১ থানার কার্যক্রম চালু, ৫৮ জেলায় ২০৬ সেনা ক্যাম্প

দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম। তবে এরই মধ্যে ৩৬১টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশের ৪১৭টি থানায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

যারা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৭০টি এবং রেঞ্জের ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টিসহ সর্বমোট ৩৬১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে।

আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি দল যথাক্রমে জামালপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলায়নে উদ্যত হওয়া কয়েদিদের বাধা প্রদান এবং কারাগারে রক্ষিত অস্ত্র গোলাবারুদ সুরক্ষিত করে। সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিহত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিহত করা হয়।

এছাড়া কক্সবাজারে অবস্থিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে নিরাপত্তা প্রদানে সেনা সদস্য মোতায়েন হয় এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পেট্রোল পরিচালনা করে।

আইএসপিআর জানায়, রাজধানী ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপতৎপরতা চলমান রয়েছে। দেশবাসীকে এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করতে অনুরোধ করা হলো। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৩৬১ থানার কার্যক্রম চালু, ৫৮ জেলায় ২০৬ সেনা ক্যাম্প

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম। তবে এরই মধ্যে ৩৬১টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশের ৪১৭টি থানায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

যারা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৭০টি এবং রেঞ্জের ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টিসহ সর্বমোট ৩৬১টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে।

আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি দল যথাক্রমে জামালপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলায়নে উদ্যত হওয়া কয়েদিদের বাধা প্রদান এবং কারাগারে রক্ষিত অস্ত্র গোলাবারুদ সুরক্ষিত করে। সেইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিহত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিহত করা হয়।

এছাড়া কক্সবাজারে অবস্থিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে নিরাপত্তা প্রদানে সেনা সদস্য মোতায়েন হয় এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পেট্রোল পরিচালনা করে।

আইএসপিআর জানায়, রাজধানী ঢাকার ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সেইসঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপতৎপরতা চলমান রয়েছে। দেশবাসীকে এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করতে অনুরোধ করা হলো। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।