ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ চাষ

ঝালকাঠি জেলায় বাঁশ বাগানের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এরফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, আগে জমির দাম কিছুটা কম থাকায় বাঁশ ঝাড়গুলো সংরক্ষিত ছিলো। এখন জমির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাঁশ ঝাড় কেটে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে বসতিসহ নানান স্থাপনা। এছাড়া ইটভাটার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বাঁশ।
বাঁশ বাগানের মালিক মোঃ রবিউল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, আগে আমাদের বাঁশ ঝাড় অনেক বড় ছিলো। এখন এর প্রতি গুরুত্ব না দেয়ায় অনেক কমে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঝাড় কমে যাওয়ায় এখন বাঁশ আর সহজলভ্য নয়। এ কারণেই দিনে দিনে বাড়ছে বাঁশের দাম। কিছুদিন আগেও একটি বাঁশের দাম ছিলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
বাঁশ ব্যবসায়ি রবি দুয়ারী জানান, ঝাড়গুলো নিধন হচ্ছে। পুনরায় জন্ম নিচ্ছে না। তাই আমাদের কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাঁশের আগের মতো ঝাড় নেই। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষি সহায়ক উপাদান হিসেবে বাণিজ্যিক ভাবে বাঁশ চাষের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কাঁঠালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। এই বাঁশের ঝাড় পুনরায় স্থাপন করতে কি প্রযুক্তি লাগবে সেগুলো আমরা দিচ্ছি। এর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। স্বল্প পরিসরে হলেও বাড়ির আশেপাশে বাঁশ বাগান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার উপর জোড় দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ চাষ

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭

ঝালকাঠি জেলায় বাঁশ বাগানের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এরফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, আগে জমির দাম কিছুটা কম থাকায় বাঁশ ঝাড়গুলো সংরক্ষিত ছিলো। এখন জমির দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাঁশ ঝাড় কেটে জমি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব জায়গায় গড়ে উঠেছে বসতিসহ নানান স্থাপনা। এছাড়া ইটভাটার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বাঁশ।
বাঁশ বাগানের মালিক মোঃ রবিউল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, আগে আমাদের বাঁশ ঝাড় অনেক বড় ছিলো। এখন এর প্রতি গুরুত্ব না দেয়ায় অনেক কমে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঝাড় কমে যাওয়ায় এখন বাঁশ আর সহজলভ্য নয়। এ কারণেই দিনে দিনে বাড়ছে বাঁশের দাম। কিছুদিন আগেও একটি বাঁশের দাম ছিলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
বাঁশ ব্যবসায়ি রবি দুয়ারী জানান, ঝাড়গুলো নিধন হচ্ছে। পুনরায় জন্ম নিচ্ছে না। তাই আমাদের কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাঁশের আগের মতো ঝাড় নেই। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষি সহায়ক উপাদান হিসেবে বাণিজ্যিক ভাবে বাঁশ চাষের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কাঁঠালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর তাদের উদ্বুদ্ধ করছে। এই বাঁশের ঝাড় পুনরায় স্থাপন করতে কি প্রযুক্তি লাগবে সেগুলো আমরা দিচ্ছি। এর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। স্বল্প পরিসরে হলেও বাড়ির আশেপাশে বাঁশ বাগান সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার উপর জোড় দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।