ঢাকা , রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হবে

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হবে এবং তা একত্রিত করে ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

আজ জেলার ফরিদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সম্মানী ভাতা ১০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। বিনামুল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা সদরে অসহায় ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের করা হবে যেন দেখলেই বুঝা যায় সেটি মুক্তিযোদ্ধার কবর। যেসব জায়গায় পাকিস্তান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল সেসব জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘খাতির করে নয় সঠিক যাছাই বাছাই করেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন জেনেশুনে অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে চূড়ান্ত সনদ ও পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এই সনদ ও পরিচয়পত্র আধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্বলিত। যা নকল বা জালিয়াতি করা যাবে না। চলমান যাচাই বাছাই শেষ হলেই এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। ’

পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরুপ চৌধুরী, স্কয়ার টয়লেট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদ।

সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। পরে মন্ত্রী একই জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলা কমপ্লেক্সও উদ্বোধন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হবে

আপডেট টাইম : ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হবে এবং তা একত্রিত করে ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

আজ জেলার ফরিদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সম্মানী ভাতা ১০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। বিনামুল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা সদরে অসহায় ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের করা হবে যেন দেখলেই বুঝা যায় সেটি মুক্তিযোদ্ধার কবর। যেসব জায়গায় পাকিস্তান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল সেসব জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘খাতির করে নয় সঠিক যাছাই বাছাই করেই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন জেনেশুনে অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে চূড়ান্ত সনদ ও পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এই সনদ ও পরিচয়পত্র আধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্বলিত। যা নকল বা জালিয়াতি করা যাবে না। চলমান যাচাই বাছাই শেষ হলেই এ সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। ’

পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরুপ চৌধুরী, স্কয়ার টয়লেট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদ।

সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। পরে মন্ত্রী একই জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলা কমপ্লেক্সও উদ্বোধন করেন।