ঢাকা , শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইতিহাসে মুসলিম ও অমুসলিম সম্পর্ক চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ভারতের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে পাকিস্তান নতুন শুরুর আগেই এলোমেলো পরীর জীবন মার্কিন নির্বাচনে জয়ী ৫ বাংলাদেশি মেরিন ও অফশোর শিল্পে বি‌নিয়োগের আহ্বান নৌ উপদেষ্টার একলাফে ৩৪৬৪ টাকা কমল সোনার ভরি, কাল থেকে কার্যকর কাল লন্ডন যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর, শুক্রবার নয়াপল্টন-মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত বিএনপির র‌্যালি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা-ফার্স্ট’ নীতিতে বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে ভারত জামায়াতের সাথে ঐক্যের কারণে নেজামে ইসলাম পার্টি বিলুপ্তপ্রায়! একান্ত সাক্ষাতকারে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

পাতাবাহার গাছকে সতেজ ও সবুজ রাখবেন যেভাবে

অনেকের বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে নানা ধরনের পাতাবাহার গাছ থাকে। এসব গাছের যত্ন একটু আলাদা ধরনের। নানা ধরনের পাতাবাহার গাছ কীভাবে যত্ন নেবেন জেনে নিন

পাতাবাহার গাছকে সবসময় হালকা ছায়ায় রাখতে হয়। মাঝেমধ্যে অল্প একটু রোদে রাখতে হয়। না হলে পাতার রঙ খোলে না। রাতে খোলা জায়গায় রেখে দিয়ে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ খাইয়ে আবার যথাস্থানে নিয়ে যান। মনে রাখবেন, ঘরের ভেতরে কিন্তু একনাগাড়ে বেশিদিন পাতাবাহারের গাছ রাখা যায় না, জায়গা বদল করে রাখতে হয়। যেমন ধরুন, যে গাছগুলোকে আপনি ঘরের ভেতর রেখেছিলেন সেগুলোকে বারান্দায়, সিঁড়িতে বা অন্য কোনো স্থানে নিয়ে যান। অনুরূপভাবে আবার বাইরের গাছগুলোকে ঘরের ভেতরে নিয়ে আসুন।

আলোর ব্যতিক্রমী গাছও নিশ্চয়ই আছে। সরু ও ছোট পাতার এমন অনেক প্রজাতির পাতাবাহার আছে, যারা মোটামুটি রোদ সহ্য করতে পারে। সেই ধরনের গাছকে হালকা রোদ পড়ে এমন জায়গায় রাখুন। পাতাবাহারের টবের মাপ হওয়া উচিত ৯ থেকে ১২ ইঞ্চি বা তার থেকেও বড় টবে। আর এমনভাবে পানি দিন যেন মাটি ভিজে থাকে অথচ কোনোভাবেই গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকবে না। পাতাকে সতেজ ও মসৃণ করে রাখতে প্রতিদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পাতার ওপরে ও নিচে স্প্রেয়ারের সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে দিন। সবসময় খেয়াল রাখবেন, পোকামাকড় ধরে পাতাবাহারের পাতার আকৃতি যেন নষ্ট করে না দেয়। প্রতিকার হিসেবে রোগের ম্যাটাসিট ফিফটি ডেমিক্রনের মতো ওষুধ ১ লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে পাতার গায়ে ও ডালে ভালো করে স্প্রে করবেন। টবের মাটি ভালোভাবে খুঁচিয়ে দিন, যাতে আলো-বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে।

জমির জন্য যদি মাটিতে পাতাবাহারের গাছ লাগাতে চান তাহলে এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে সারা দিনই হালকা ছায়া থাকে এবং পানি জমে না থাকে। বাগানের পাতাবাহার গাছকে সঠিকভাবে সময়মতো পরিচর্যা করতে হয়। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো বড় গাছের নিচে পাতাবাহার লাগানো যায় না। সাজানোর প্রয়োজনে সাময়িকভাবে ৪-৫ দিনের জন্য ছোট টবের গাছ বড় গাছের তলায় রাখতে পারেন।

পাতাবাহার গাছের কলম করার জন্য বর্ষাকালই ভালো। গুটি কলম বাঁধার ১৫ দিনের মাথায় প্রচুর পরিমাণে শিকড় এসে যাবে। দেখবেন শিকড়গুলো যখন সাদা রঙ থেকে বাদামি হয়ে যাবে তখন গাছ থেকে কেটে নিয়ে ৫-৬ ইঞ্চি টবে লাগান। প্রথমেই বড় টবে লাগাবেন না। লাগালে দেখবেন নিচের পাতাগুলো কেমন ঝরে গিয়েছে। ছোট টব থেকে বড় টবে গাছকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তত ১৫ দিন সময় দেওয়া দরকার। ওই সময়ের পর টবে সার-মাটি দিয়ে গাছ লাগিয়ে দিন। এই প্রথায় আপনি অনেক পাতাবাহার গাছ করতে পারবেন। আর এই গাছগুলো আপনার বাড়িকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে তুলবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ইতিহাসে মুসলিম ও অমুসলিম সম্পর্ক

পাতাবাহার গাছকে সতেজ ও সবুজ রাখবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

অনেকের বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে নানা ধরনের পাতাবাহার গাছ থাকে। এসব গাছের যত্ন একটু আলাদা ধরনের। নানা ধরনের পাতাবাহার গাছ কীভাবে যত্ন নেবেন জেনে নিন

পাতাবাহার গাছকে সবসময় হালকা ছায়ায় রাখতে হয়। মাঝেমধ্যে অল্প একটু রোদে রাখতে হয়। না হলে পাতার রঙ খোলে না। রাতে খোলা জায়গায় রেখে দিয়ে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ খাইয়ে আবার যথাস্থানে নিয়ে যান। মনে রাখবেন, ঘরের ভেতরে কিন্তু একনাগাড়ে বেশিদিন পাতাবাহারের গাছ রাখা যায় না, জায়গা বদল করে রাখতে হয়। যেমন ধরুন, যে গাছগুলোকে আপনি ঘরের ভেতর রেখেছিলেন সেগুলোকে বারান্দায়, সিঁড়িতে বা অন্য কোনো স্থানে নিয়ে যান। অনুরূপভাবে আবার বাইরের গাছগুলোকে ঘরের ভেতরে নিয়ে আসুন।

আলোর ব্যতিক্রমী গাছও নিশ্চয়ই আছে। সরু ও ছোট পাতার এমন অনেক প্রজাতির পাতাবাহার আছে, যারা মোটামুটি রোদ সহ্য করতে পারে। সেই ধরনের গাছকে হালকা রোদ পড়ে এমন জায়গায় রাখুন। পাতাবাহারের টবের মাপ হওয়া উচিত ৯ থেকে ১২ ইঞ্চি বা তার থেকেও বড় টবে। আর এমনভাবে পানি দিন যেন মাটি ভিজে থাকে অথচ কোনোভাবেই গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকবে না। পাতাকে সতেজ ও মসৃণ করে রাখতে প্রতিদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পাতার ওপরে ও নিচে স্প্রেয়ারের সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে দিন। সবসময় খেয়াল রাখবেন, পোকামাকড় ধরে পাতাবাহারের পাতার আকৃতি যেন নষ্ট করে না দেয়। প্রতিকার হিসেবে রোগের ম্যাটাসিট ফিফটি ডেমিক্রনের মতো ওষুধ ১ লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে পাতার গায়ে ও ডালে ভালো করে স্প্রে করবেন। টবের মাটি ভালোভাবে খুঁচিয়ে দিন, যাতে আলো-বাতাস ভেতরে প্রবেশ করে।

জমির জন্য যদি মাটিতে পাতাবাহারের গাছ লাগাতে চান তাহলে এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে সারা দিনই হালকা ছায়া থাকে এবং পানি জমে না থাকে। বাগানের পাতাবাহার গাছকে সঠিকভাবে সময়মতো পরিচর্যা করতে হয়। কোনো অবস্থাতেই অন্য কোনো বড় গাছের নিচে পাতাবাহার লাগানো যায় না। সাজানোর প্রয়োজনে সাময়িকভাবে ৪-৫ দিনের জন্য ছোট টবের গাছ বড় গাছের তলায় রাখতে পারেন।

পাতাবাহার গাছের কলম করার জন্য বর্ষাকালই ভালো। গুটি কলম বাঁধার ১৫ দিনের মাথায় প্রচুর পরিমাণে শিকড় এসে যাবে। দেখবেন শিকড়গুলো যখন সাদা রঙ থেকে বাদামি হয়ে যাবে তখন গাছ থেকে কেটে নিয়ে ৫-৬ ইঞ্চি টবে লাগান। প্রথমেই বড় টবে লাগাবেন না। লাগালে দেখবেন নিচের পাতাগুলো কেমন ঝরে গিয়েছে। ছোট টব থেকে বড় টবে গাছকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তত ১৫ দিন সময় দেওয়া দরকার। ওই সময়ের পর টবে সার-মাটি দিয়ে গাছ লাগিয়ে দিন। এই প্রথায় আপনি অনেক পাতাবাহার গাছ করতে পারবেন। আর এই গাছগুলো আপনার বাড়িকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে তুলবে।