ঢাকা , রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষকের মুক্তি চেয়ে মসজিদে মোনাজাত, জনতার ধাওয়া খেয়ে পালালেন ইমাম

কক্সবাজারের একটি মসজিদে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণকারীদের মুক্তি ও আপন জুয়েলার্সের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় শহরে তোলপাড় চলছে।

আজ শুক্রবার

জুমার নামাজের পর কক্সবাজারে শহরে অবস্থিত বায়তুশ শরফ মসজিদে জুমার নামাজে পর মোনাজাতে ধর্ষক ও আপন জুয়েলার্সের পক্ষে এই মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে প্রচণ্ড উত্তোজনা দেখা দেয়। কার অনুমতি নিয়ে ধর্ষকের পক্ষে ও ধর্ষকদের রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়েছে তা নিয়ে মুসল্লিরা চিৎকার করতে থাকে। পরে মুসল্লিদের তোপের মুখে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও মসজিদের ইমাম মৌলানা রিদুয়ানুল হক পালিয়ে যান।

আবুল বাশার নামের এক মুসল্লি জানান, নামাজের সময় তিনি একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম মৌলানা রিদুয়ানুল হক মোনাজাত শুরু করার আগ মুহুর্তে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তার কানে কানে কিছু একটা বলেন। এরপরই মোনাজাত করে বনানীতে ২ ছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের মুক্তি ও আপন জুয়েলার্সের জন্য দোয়া করা হয়।

বাইতুশ শরফ মসজিদ কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করে। মোনাজাত শেষ হওয়ার পর পর ৩ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের কয়েক হাজার মুসল্লী চিৎকার শুরু করে। মুসল্লীরা মসজিদের ইমাম ও কমিটির সভাপতির কাছে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের জন্য মোনাজাত কেন করা হয়েছে জানতে চান। মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ইমাম ও সভাপতি দ্রুত পালিয়ে যান।

মসজিদের আরেক মুসল্লী মনসুর জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি জামায়াতের মতাদর্শে বিশ্বাসী। যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের অনুসারী ছিলেন। নানা সময় মসজিদের ভেতরে সিরাজুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধীদেরদ বিচার নিয়ে কটুক্তি করেন।

এ দিকে জুমার নামাজে মসজিদে ধর্ষক ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য দোয়া চাওয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ঐ ইমামকে মসজিদে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এই ব্যাপরে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ধর্ষকের মুক্তি চেয়ে মসজিদে মোনাজাত, জনতার ধাওয়া খেয়ে পালালেন ইমাম

আপডেট টাইম : ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭

কক্সবাজারের একটি মসজিদে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণকারীদের মুক্তি ও আপন জুয়েলার্সের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় শহরে তোলপাড় চলছে।

আজ শুক্রবার

জুমার নামাজের পর কক্সবাজারে শহরে অবস্থিত বায়তুশ শরফ মসজিদে জুমার নামাজে পর মোনাজাতে ধর্ষক ও আপন জুয়েলার্সের পক্ষে এই মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে প্রচণ্ড উত্তোজনা দেখা দেয়। কার অনুমতি নিয়ে ধর্ষকের পক্ষে ও ধর্ষকদের রক্ষার জন্য মোনাজাত করা হয়েছে তা নিয়ে মুসল্লিরা চিৎকার করতে থাকে। পরে মুসল্লিদের তোপের মুখে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও মসজিদের ইমাম মৌলানা রিদুয়ানুল হক পালিয়ে যান।

আবুল বাশার নামের এক মুসল্লি জানান, নামাজের সময় তিনি একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম মৌলানা রিদুয়ানুল হক মোনাজাত শুরু করার আগ মুহুর্তে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তার কানে কানে কিছু একটা বলেন। এরপরই মোনাজাত করে বনানীতে ২ ছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের মুক্তি ও আপন জুয়েলার্সের জন্য দোয়া করা হয়।

বাইতুশ শরফ মসজিদ কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করে। মোনাজাত শেষ হওয়ার পর পর ৩ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের কয়েক হাজার মুসল্লী চিৎকার শুরু করে। মুসল্লীরা মসজিদের ইমাম ও কমিটির সভাপতির কাছে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের জন্য মোনাজাত কেন করা হয়েছে জানতে চান। মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে ইমাম ও সভাপতি দ্রুত পালিয়ে যান।

মসজিদের আরেক মুসল্লী মনসুর জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি জামায়াতের মতাদর্শে বিশ্বাসী। যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের অনুসারী ছিলেন। নানা সময় মসজিদের ভেতরে সিরাজুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধীদেরদ বিচার নিয়ে কটুক্তি করেন।

এ দিকে জুমার নামাজে মসজিদে ধর্ষক ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য দোয়া চাওয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ঐ ইমামকে মসজিদে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এই ব্যাপরে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।