ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন বর্ণিল উইকেন ডে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ চলমান বৈশ্বিক করোনায় বিধ্বস্ত বিশ্বে মানবতা আজ চরম হুমকির মুখে। অদৃশ্য শত্রু প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বেসামাল বিশ্ব। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সুস্থ্ও হয়েছেন বিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষ। এর মধ্যে ঘরবন্দি জীবন থেকে অজানা শঙ্কা নিয়েই মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। মানবকল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রেখে কাজও করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এমনি একটি সুন্দর আয়োজন হয়ে গেল জার্মানিতে। সম্প্রতি জার্মান প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন করেন গ্রীষ্মকালীন বর্ণিল উইকেন ডে’র। যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীরা অংশ নিয়েছেন। যার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে- বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, বাঙালির মমত্ববোধ, বাঙালির জাগ্রতবোধ ও বাঙালির সততাবোধ বিশ্বদরবারে তুলে ধরাসহ জার্মানিতে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া। করোনাকালে দেশটির সরকারের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানবতার কল্যাণে বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে।

জানা যায়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রবাসে জীবন-যাপনে সংঘবদ্ধতা, প্রতিবেশীদের সান্নিধ্যতাকে গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে বর্তমান সরকার নিবেদিত ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলা-জার্মান সমিতি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সমাজ ও সাংস্কৃতিকে জার্মানিতে একটা সুষ্ঠরূপ দেওয়াই সমিতির মূল লক্ষ্য। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন চ্যারিটি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয় করে তা বিভিন্ন মানবতার কল্যাণে ব্যয় করা হয়। যার বেশি ভাগ অর্থই প্রদান করা হয় বাংলাদেশের অসহায় মানুষের কল্যাণে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অসহায়- গরীব মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র এবং পানি পরিশোধন সামগ্রী বিতরণ করে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সংগঠনের কাজ চলছে বলে বাংলা-জার্মান সমিতির কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট করেন।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলা-জার্মান সমিতির সভাপতি জুলফিকার সৈয়দ মনা বলেন, ‘আমি এই সমিতির দায়িত্বে থাকতে পেরে নিজেকে এতো বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকতে গর্ববোধ করি। মানবকল্যাণে সমিতির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করে খুবই আনন্দও পাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি শামীম আজিজ, সাধারণ সম্পাদক- জেমস জুয়েল বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-নদী বিশ্বাস ও সহকারী- কাজী নিগার সুলতানা, উপদেষ্টা-বদরুল হায়দার আরজু, ডেভিড কামার, প্রদিপ সাহা, কোষাধক্ষ- হাবিবুর কাজী হাবিব, সদস্য- সত্যজিৎ অপু, পরিক্ষিত রায়, হারুনর রশীদ হারুন, স্বপন কুমার রায়, বাবুল সরকার এবং রিয়াজ সেলিম, রুমা। আরও যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আয়োজনটির সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে তারা হলেন ছন্দা, শিমুল, করিনা, তাপসি, আলো, ডোরা, রুমা, অর্চনা, ডেমি, এলকে, শীলা, রওশনা হায়দার ও ও মিঠু বৌ দি।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত সবার জন্য বাঙালির ঐতিহ্যের বাহারি খাবার তালিকায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল আস্ত খাসির গ্রিল। ভোজন আর সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাংলা-জার্মান সমিতির বর্ণিল গ্রীষ্মকালীন উইকেন ডে’র আয়োজন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা

বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন বর্ণিল উইকেন ডে

আপডেট টাইম : ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ চলমান বৈশ্বিক করোনায় বিধ্বস্ত বিশ্বে মানবতা আজ চরম হুমকির মুখে। অদৃশ্য শত্রু প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বেসামাল বিশ্ব। তবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সুস্থ্ও হয়েছেন বিশ্বের বিপুল সংখ্যক মানুষ। এর মধ্যে ঘরবন্দি জীবন থেকে অজানা শঙ্কা নিয়েই মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। মানবকল্যাণে বিশেষ ভূমিকা রেখে কাজও করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এমনি একটি সুন্দর আয়োজন হয়ে গেল জার্মানিতে। সম্প্রতি জার্মান প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজন করেন গ্রীষ্মকালীন বর্ণিল উইকেন ডে’র। যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীরা অংশ নিয়েছেন। যার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে- বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, বাঙালির মমত্ববোধ, বাঙালির জাগ্রতবোধ ও বাঙালির সততাবোধ বিশ্বদরবারে তুলে ধরাসহ জার্মানিতে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া। করোনাকালে দেশটির সরকারের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানবতার কল্যাণে বাংলা-জার্মান সমিতির উদ্যোগে এ ধরনের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে।

জানা যায়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রবাসে জীবন-যাপনে সংঘবদ্ধতা, প্রতিবেশীদের সান্নিধ্যতাকে গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে বর্তমান সরকার নিবেদিত ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলা-জার্মান সমিতি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সমাজ ও সাংস্কৃতিকে জার্মানিতে একটা সুষ্ঠরূপ দেওয়াই সমিতির মূল লক্ষ্য। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন চ্যারিটি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয় করে তা বিভিন্ন মানবতার কল্যাণে ব্যয় করা হয়। যার বেশি ভাগ অর্থই প্রদান করা হয় বাংলাদেশের অসহায় মানুষের কল্যাণে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অসহায়- গরীব মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র এবং পানি পরিশোধন সামগ্রী বিতরণ করে সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সংগঠনের কাজ চলছে বলে বাংলা-জার্মান সমিতির কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট করেন।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলা-জার্মান সমিতির সভাপতি জুলফিকার সৈয়দ মনা বলেন, ‘আমি এই সমিতির দায়িত্বে থাকতে পেরে নিজেকে এতো বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকতে গর্ববোধ করি। মানবকল্যাণে সমিতির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করে খুবই আনন্দও পাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি শামীম আজিজ, সাধারণ সম্পাদক- জেমস জুয়েল বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-নদী বিশ্বাস ও সহকারী- কাজী নিগার সুলতানা, উপদেষ্টা-বদরুল হায়দার আরজু, ডেভিড কামার, প্রদিপ সাহা, কোষাধক্ষ- হাবিবুর কাজী হাবিব, সদস্য- সত্যজিৎ অপু, পরিক্ষিত রায়, হারুনর রশীদ হারুন, স্বপন কুমার রায়, বাবুল সরকার এবং রিয়াজ সেলিম, রুমা। আরও যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আয়োজনটির সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে তারা হলেন ছন্দা, শিমুল, করিনা, তাপসি, আলো, ডোরা, রুমা, অর্চনা, ডেমি, এলকে, শীলা, রওশনা হায়দার ও ও মিঠু বৌ দি।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত সবার জন্য বাঙালির ঐতিহ্যের বাহারি খাবার তালিকায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল আস্ত খাসির গ্রিল। ভোজন আর সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাংলা-জার্মান সমিতির বর্ণিল গ্রীষ্মকালীন উইকেন ডে’র আয়োজন।