২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতে ১১ হাজার ৮শ ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে এই বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৩শ ৭৮ কোটি টাকা। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক ভর্তুকির অতিরিক্ত হিসেবে কৃষিজাত সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সেচযন্ত্রে ব্যবহূত বিদ্যুত্ বিলের ওপর ২০ শতাংশ হারে আমরা ছাড় প্রদান করছি। বর্তমানে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উন্নয়ন সহায়তার হার হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং দেশের অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিগত এপ্রিল মাসের আকস্মিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ এলাকায় খাদ্যশস্য উত্পাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সারাদেশের খাদ্য উত্পাদন মোটামুটিভাবে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করছি ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কৃষিখাতে নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় মত্স্য ও শাকসবজি উত্পাদনে আমরা যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করেছি। পাটের উন্মোচিত জেনোম তথ্য কাজে লাগিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্য ও নিম্নতাপমাত্রা সহিষ্ণু তোষা পাটের দুটি এবং দেশি পাটের একটি অগ্রবর্তী লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে।