শীতের রাতে ‘বিপিএল’র উদ্বোধনী মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। গতকাল সোমবার ঢাকার শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘বিপিএল টি ২০ মিউজিক ফেস্ট’র কনসার্টে তিনি গেয়ে শোনান বাংলা গানও। চমক হিসেবে পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘ভালোবাসা আমার পর হয়েছে’ গানটি।
বিপিএল’র উদ্বোধনী মঞ্চে গায়কের আগমন ঘটে রাত ৯টায়। মঞ্চে উঠেই চিরচেনা ভঙ্গিতে রাহাত ফতেহ আলী খান দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভালোবাসা বাংলাদেশ। প্রথমবার বিপিএলে গাইতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিপিএলের সব দলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’
এরপর ‘আল্লাহ হু’ কণ্ঠে তুলে গায়ক ছড়িয়ে দেন তার সুরের জাদু। গাইলেন ‘সানু এক পাল চেইন’, ‘খুদা অর মহব্বত’ গানগুলো। এর মাঝে খানিকটা বিরতি নিয়ে রাহাত ফতেহ আলী খান বলে উঠেন, ‘এবার আমি বাংলাদেশের গান গাইব। দুই দেশের জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লার সুরে কবির বকুলের লেখা “ভালোবাসা আমার পর হয়েছে” গানটি শোনাব।’
এ সময় করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো কনসার্টস্থল। সবার কণ্ঠেই তখন গায়কের জয়ধ্বনি। ‘বিপিএল টি ২০ মিউজিক ফেস্ট’র এই কনসার্টে তিনি একে একে গেয়ে শোনান ‘জরুরি থা’, ‘তেরে রাশকে কামার’, ‘মেরে পাস তুম হো’, ‘পিয়া রে’, ‘আফরি আফরি’, ‘তেরে মাস্ত মাস্ত’ গানগুলো।
এদিকে রুনা লায়লা সম্পর্কে রাহাত ফতেহ আলী খান তার অনুভূতি প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রুনা লায়লাজি হচ্ছেন অসাধারণ একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান- দুই দেশে তার তুমুল জনপ্রিয়তা আছে। আমি তাকে খুব সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তিনি আমাদের অগ্রজ। আমি রুনা লায়লাজির সুরে একটি বাংলা গান গেয়েছি, রাজা কাশিফের সংগীতায়োজনে। আর বাংলা যে উচ্চারণ তা রুনা লায়লাজি আমাকে শিখিয়েছেন। ঠিক করে দিয়েছেন। এসব আমার জীবনের সুন্দর অনুভূতি।’