ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ দফা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস।

ঐতিহাসিক ৭ই জুন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ একথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন উল্লেখ রাষ্ট্রপতি তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলার জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬-দফা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অন্যতম মাইলফলক। ঐতিহাসিক এ দিনে তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এই ৬-দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্বশাসনের রূপরেখা।

তিনি আরও বলেন, ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তা সত্ত্বেও তিনি ৬-দফার দাবি থেকে সরে আসেন নি। তাঁর নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

রাষ্ট্রপতি আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে ৬-দফার দাবি আদায়সহ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিহত সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

৬ দফা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস

আপডেট টাইম : ০৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণারও উৎস।

ঐতিহাসিক ৭ই জুন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ একথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন উল্লেখ রাষ্ট্রপতি তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলার জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬-দফা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অন্যতম মাইলফলক। ঐতিহাসিক এ দিনে তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এই ৬-দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্বশাসনের রূপরেখা।

তিনি আরও বলেন, ৬-দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করে এবং তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তা সত্ত্বেও তিনি ৬-দফার দাবি থেকে সরে আসেন নি। তাঁর নেতৃত্বে দাবি আদায়ের আন্দোলন বেগবান হয় এবং তা অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শাসকগোষ্ঠী ৬-দফার আন্দোলন স্তিমিত করতে গ্রেফতার নির্যাতনসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

রাষ্ট্রপতি আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে ৬-দফার দাবি আদায়সহ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিহত সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।