বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ডায়াবেটিস হলে মিষ্টিজাতীয় সব খাবারই না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এ কারণে অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন তাহলে মিষ্টি আলু খেলে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি আলুতে থাকা পুষ্টিকর উপাদানসমূহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর করে।
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অনেকেই ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি আলু এড়িয়ে যান। তবে এটি ঠিক নয় বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
তাদের মতে, অল্প পরিমাণ মিষ্টি আলু দিনে একবার হলেও খাওয়া যেতে পারে। সাদা আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুতে বেশি পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। যেহেতু সাদা আলুর চেয়ে মিষ্টি আলুর জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) কম।
তাই এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। তাই অল্প পরিমাণে খেলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিশ্বে ৪০০ রকমের মিষ্টি আলু রয়েছে। এর মধ্যে জাপানি ও বেগুনি মিষ্টি আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। সর্বদা মাঝারি আকারের মিষ্টি আলু খাবেন। সালাদ বা ভেজিটেবলের সঙ্গে ছাড়াও বিভিন্নভাবে মিষ্টি আলু আপনার খাবারে যুক্ত করতে পারেন।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভুনা বা ভাজা মিষ্টি আলুর চেয়ে সেদ্ধ করে খেলে কম জিআই মেলে। তাই মিষ্টি আলুতে থাকা সব পুষ্টিগুণ পেতে সেদ্ধ করে খাওয়াই ভালো।
শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, ডায়াবেটিক রোগীদের কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা হওয়া আশঙ্কা থাকে। এতে থাকা ফাইবার সমস্যাটি থেকেও মুক্তি দেয়। জেনে নিন মিষ্টি আলু আরও যেসব সমস্যার সমাধানে কাজ করে-
>> প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় মিষ্টি আলু হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
>> এ আলু খেলে পেট অনেক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
>> অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে মিষ্টি আলুতে। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই ও কে থাকে। যা একাধিক সমস্যা দূর করে ও শরীর সুস্থ রাখে।
>> অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে পরিপূর্ণ মিষ্টি আলুতে ক্যারটেনয়ডস নামক একটি উপাদান থাকে। যা কোষের ক্ষয় রোধ করে।
>> এতে ভিটামিন ই ও সি থাকে। যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে ব়্যাশ, ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকে না।
>> অ্যান্টি-ক্যানসার জাতীয় উপাদানও রয়েছে মিষ্টি আলুতে। বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুর উপরে করা এক গবেষণা বলছে, এতে অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে যা ব্লাডার, ব্রেস্ট ও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ উপাদানটি যেকোনো ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলে এবং কোষ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমায়।