ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই তরুণীর বিয়ে: থানায় অভিযোগ পরিবারের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতে সমকামিতাকেও ফৌজদারি অপরাধী বলে গণ্য করা হত। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমকামিতা এখন আর ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে এদেশে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু, এবার ভারতেও সমলিঙ্গ বিবাহের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুই তরুণী। ওই দুই তরুণীর মধ্যে একজনের পরিবারের পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপাতত ওই দম্পতির কাউন্সেলিং শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ওই দুই তরুণী দূর সম্পর্কের আত্মীয়। একজনের বয়স ২৫, অন্যজনের বয়স ২১। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কলেজের বি.কমের ছাত্রী ২১ বছরের শিল্পা (নাম পরিবর্তিত)। আর আর ২৫ বছরের সাহানা (নাম পরিবর্তিত) একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। নিজের মুখে সাহানা জানিয়েছেন, কৈশোরেই শিল্পার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। কিন্তু, শিল্পার পরিবার অত্যন্ত রক্ষণশীল। তাই তাঁকে ‘আধুনিক মনষ্ক’ করে তোলার জন্য বিভিন্ন শপিং মলে নিয়ে যেতেন সাহানা। পশ্চিমী পোশাক ও নানা ধরনের দামি উপহারও কিনে দিতেন। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর, শিল্পাকে নিজের মনে কথা জানান সাহানা। কিন্তু শিল্পা প্রথমে রাজি হননি। পরে অবশ্য দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু, শিল্পা ও সাহানা  জানতেন, তাদের এই সম্পর্ক  পরিবার কখনই মেনে নেবে না। তাই গত মে  মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই দুই তরুণী এবং বেঙ্গালুরুরই কোরামঙ্গলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শিল্পার বাড়ির লোকেরা। ওই দুই তরুণীর সন্ধান পেলেও, দু’জনেই প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উল্টা শিল্পা ও সাহানা পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন, তারা আর বাড়ি  ফিরতে চান না। একসঙ্গেই থাকবেন। এরপরই ওই তরুণীর বিয়ে ও যৌন সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানান শিল্পার পরিবারের লোকেরা। পুরো ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে জানান স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আপাতত ওই দুই তরুণীকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে কোন পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই তরুণীর বিয়ে: থানায় অভিযোগ পরিবারের

আপডেট টাইম : ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ভারতে সমকামিতাকেও ফৌজদারি অপরাধী বলে গণ্য করা হত। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমকামিতা এখন আর ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে এদেশে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু, এবার ভারতেও সমলিঙ্গ বিবাহের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুই তরুণী। ওই দুই তরুণীর মধ্যে একজনের পরিবারের পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপাতত ওই দম্পতির কাউন্সেলিং শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ওই দুই তরুণী দূর সম্পর্কের আত্মীয়। একজনের বয়স ২৫, অন্যজনের বয়স ২১। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কলেজের বি.কমের ছাত্রী ২১ বছরের শিল্পা (নাম পরিবর্তিত)। আর আর ২৫ বছরের সাহানা (নাম পরিবর্তিত) একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। নিজের মুখে সাহানা জানিয়েছেন, কৈশোরেই শিল্পার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। কিন্তু, শিল্পার পরিবার অত্যন্ত রক্ষণশীল। তাই তাঁকে ‘আধুনিক মনষ্ক’ করে তোলার জন্য বিভিন্ন শপিং মলে নিয়ে যেতেন সাহানা। পশ্চিমী পোশাক ও নানা ধরনের দামি উপহারও কিনে দিতেন। এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর, শিল্পাকে নিজের মনে কথা জানান সাহানা। কিন্তু শিল্পা প্রথমে রাজি হননি। পরে অবশ্য দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু, শিল্পা ও সাহানা  জানতেন, তাদের এই সম্পর্ক  পরিবার কখনই মেনে নেবে না। তাই গত মে  মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই দুই তরুণী এবং বেঙ্গালুরুরই কোরামঙ্গলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শিল্পার বাড়ির লোকেরা। ওই দুই তরুণীর সন্ধান পেলেও, দু’জনেই প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উল্টা শিল্পা ও সাহানা পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন, তারা আর বাড়ি  ফিরতে চান না। একসঙ্গেই থাকবেন। এরপরই ওই তরুণীর বিয়ে ও যৌন সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানান শিল্পার পরিবারের লোকেরা। পুরো ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে জানান স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আপাতত ওই দুই তরুণীকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে কোন পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এক্ষেত্রে অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।