সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সম্প্রসারণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে নকশা প্রণয়নের কাজে হাত দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আজ বুধবার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অভ্ মিউজিয়াম বাংলাদেশ কমিটির যৌথ আয়োজনে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এম আজিজুর রহমান। বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফী মুস্তাফিজুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অভ্ এশিয়া প্যাসিফিকের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্টান্যাশনাল কমিটি অভ্ মিউজিয়াম বাংলাদেশ কমিটির চেয়ারপার্সন ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় জাদুঘর এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। কিন্তু এখানে যেসব নিদর্শন প্রদর্শন করা হয় তা সংগ্রহের তুলনায় অনেক কম। জাদুঘরে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে স্টোরে সংরক্ষিত নিদর্শনের ২০ ভাগের ১ ভাগও প্রদশর্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। জাদুঘর সম্প্রসারণের বিষয়ের সাথে প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর এবং ভার্চুয়াল জাদুঘর নির্মাণের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জাদুঘরে আসতে পারেন না। বিদেশের জাদুঘরপ্রেমী দর্শকরাও অনেক সময় সশরীরে এসে তা দেখতে পারেন না।
জাতীয় জাদুঘরকে যদি ভার্চুয়াল জাদুঘরে রূপান্তর করা যায় তাহলে সবাই স্ব স্ব স্থানে বসে অনলাইনের মাধ্যমে তা অবলোকন করতে পারবে। বাংলাদেশের অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এর সাথে জাদুঘরের সমন্বয় ঘটানো জরুরি। কিভাবে তা ব্যাপকভাবে করা যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে সে ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মূল প্রবন্ধে সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মূলত ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের একটি ধারণা। তাঁদের জাদুঘর ধারণার সাথে আমাদের ধারণার বেশ পার্থক্য রয়েছে। আমরা সেদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি।