ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষামূলক যাত্রায় উড়ো গাড়ি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আকাশে উড়তে পারে এমন অনেক যানবাহন এখনো রুপালি পর্দায় দেখা কল্পলোকের জিনিস হয়ে থাকলেও উড়ুক্কু ট্যাক্সি কিন্তু এখন বাস্তবতায় রূপ পেয়েছে। এয়ার কার বা উড়ো যান নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা রকম পরীক্ষা ও গবেষণা চলছিল। অবশেষে গতানুগতিক যানবাহনের বহরে আসার পথে আরও একধাপ এগোলো এ ব্যতিক্রমধর্মী কার।

গাড়িটিও বিমানের সমন্বিত আদলে তৈরি ওএমকেএল২ মডেলের কার প্রথমবারের মতো উড়েছে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় গাড়িটি দুইজন যাত্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার গতিতে স্লোভাকিয়ার নিত্রা থেকে ব্রাতিসলাভা বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেছে। গাড়িটি রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির মতোই স্বাভাবিক চলতে পারে। আবার উড়ার সময় হলে ভাঁজ করা পাখা মেলে দিয়ে বিমানের মতো ওপরে উঠে চলাচল করতে পারবে। স্বাভাবিক কারের অবয়ব থেকে ডানা মেলে উড়ো কারের রূপ পেতে গাড়িটির সোয়া ২ মিনিট সময় লাগে।

উড়ো কারটির নির্মাতা অধ্যাপক স্টিফেন ক্লেইন জানান, যানটি আকাশ পথে সর্বোচ্চ ১০০০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) পাড়ি দিতে পারে আর ওপরে সর্বোচ্চ ৮২০০ ফুট উঠতে পারে। এ ছাড়া আকাশে টানা ৪০ ঘণ্টার মতো ভাসমান থাকতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে, উড়ো কারটিতে বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউর হাইব্রিড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে গাড়িটিতে জ্বালানি হসেবে পেট্রোল ব্যবহার করা যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

পরীক্ষামূলক যাত্রায় উড়ো গাড়ি

আপডেট টাইম : ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আকাশে উড়তে পারে এমন অনেক যানবাহন এখনো রুপালি পর্দায় দেখা কল্পলোকের জিনিস হয়ে থাকলেও উড়ুক্কু ট্যাক্সি কিন্তু এখন বাস্তবতায় রূপ পেয়েছে। এয়ার কার বা উড়ো যান নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা রকম পরীক্ষা ও গবেষণা চলছিল। অবশেষে গতানুগতিক যানবাহনের বহরে আসার পথে আরও একধাপ এগোলো এ ব্যতিক্রমধর্মী কার।

গাড়িটিও বিমানের সমন্বিত আদলে তৈরি ওএমকেএল২ মডেলের কার প্রথমবারের মতো উড়েছে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় গাড়িটি দুইজন যাত্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার গতিতে স্লোভাকিয়ার নিত্রা থেকে ব্রাতিসলাভা বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেছে। গাড়িটি রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির মতোই স্বাভাবিক চলতে পারে। আবার উড়ার সময় হলে ভাঁজ করা পাখা মেলে দিয়ে বিমানের মতো ওপরে উঠে চলাচল করতে পারবে। স্বাভাবিক কারের অবয়ব থেকে ডানা মেলে উড়ো কারের রূপ পেতে গাড়িটির সোয়া ২ মিনিট সময় লাগে।

উড়ো কারটির নির্মাতা অধ্যাপক স্টিফেন ক্লেইন জানান, যানটি আকাশ পথে সর্বোচ্চ ১০০০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) পাড়ি দিতে পারে আর ওপরে সর্বোচ্চ ৮২০০ ফুট উঠতে পারে। এ ছাড়া আকাশে টানা ৪০ ঘণ্টার মতো ভাসমান থাকতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে, উড়ো কারটিতে বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা বিএমডব্লিউর হাইব্রিড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে গাড়িটিতে জ্বালানি হসেবে পেট্রোল ব্যবহার করা যাবে।