ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘি, বিরিয়ানি খেয়েও কমালেন ৫০ কেজি ওজন!

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনেকেই মনে করেন ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মানেই নিজের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে পছন্দের খাবার। শুধু সালাদ খেয়েই পার করতে হবে দিন। কিন্তু নিজের পছন্দের চিকেন বিরিয়ানি, ঘি কিংবা ভাত খেয়েই মাত্র ১৮ মাসে ৫০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এক নারী। ওজন কমানোর জন্য শুধু নিজের জীবনযাপনে এনেছেন কিছু পরিবর্তন, কমিয়েছেন খাবারের পরিমাণ, দৈনন্দিন রুটিনে বের করেছেন ব্যায়ামের জন্য কিছু সময়।

ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী অনুপ্রিয়া রাঘব গণমাধ্যমকে জানান, আমি সারাজীবনই স্থুলকায় ছিলাম। এমনকি জন্মের সময়ও আমার ওজন চার কেজির বেশি ছিল।

ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় না খেয়ে থাকাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন অনুপ্রিয়া। সারা জীবন বাড়তি ওজন নিয়ে কাটালেও সন্তান হওয়ার পর তার ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫ কেজিতে। স্থুলতার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতেও কষ্ট হতো তার। এমনকি নিজের শিশু সন্তানের ঠিকঠাক যত্নও নিতে পারতেন না তিনি।

এরপর ওজন কমানোর জন্য বন্ধপরিকর হন অনুপ্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের ওজন কমানোর গল্প পড়ে অনুপ্রাণিত হন। ২০১৬ সালে শুরু করেন অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম  করা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনের জন্যও ব্যায়াম করা বন্ধ করেননি অনুপ্রিয়া।

ব্যায়াম করার পাশাপাশি রান্নাবান্নায় কিছু পরিবর্তন আনেন তিনি।  তেলের বদলে রোজকার রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে শুরু করেন। লবণ খাওয়া কমিয়ে দেন, বাদ দেন চিনি খাওয়া।  প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করেন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি।  এমনকি মাঝে মাঝে নিজের প্রিয় খাবার চিকেন বিরিয়ানিও খেয়েছেন অনুপ্রিয়া।  সাধারণত দুপুরের খাবারে চিকেন বিরিয়ানি রাখতেন তিনি। অবশ্য প্রিয় খাবার হলেও মাত্রাতিরিক্ত খাননি তিনি। সব সময় মেপে খেয়েছেন।

এমনকি পরিমিত পরিমানে ভাতও খেয়েছেন তিনি।

অনুপ্রিয়ার মতে, নিজের প্রিয় খাবার খাওয়া বাদ না দেওয়ায় কখনো অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছু খাওয়ার জন্য তীব্র বাসনা তৈরি হতো তার। এজন্য তাকে চিটডে নিতে হয়নি। যা তার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এভাবে ১৮ মাসে ৫০ কেজি কমাতে সক্ষম হন অনুপ্রিয়া। ২০১৭ সালে ১১৫ কেজি থেকে  ৬৫  কেজি ওজন তার হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফিটনেস সায়েন্সে থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন তিনি।

২০১৮ সালে ফিটনেস পরামর্শক এবং পুষ্টিবিদ হিসেবে  ওয়েটটুগো নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি মানুষকে নিজের কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন অনুপ্রিয়া।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ঘি, বিরিয়ানি খেয়েও কমালেন ৫০ কেজি ওজন!

আপডেট টাইম : ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনেকেই মনে করেন ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মানেই নিজের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে পছন্দের খাবার। শুধু সালাদ খেয়েই পার করতে হবে দিন। কিন্তু নিজের পছন্দের চিকেন বিরিয়ানি, ঘি কিংবা ভাত খেয়েই মাত্র ১৮ মাসে ৫০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এক নারী। ওজন কমানোর জন্য শুধু নিজের জীবনযাপনে এনেছেন কিছু পরিবর্তন, কমিয়েছেন খাবারের পরিমাণ, দৈনন্দিন রুটিনে বের করেছেন ব্যায়ামের জন্য কিছু সময়।

ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী অনুপ্রিয়া রাঘব গণমাধ্যমকে জানান, আমি সারাজীবনই স্থুলকায় ছিলাম। এমনকি জন্মের সময়ও আমার ওজন চার কেজির বেশি ছিল।

ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন সময় না খেয়ে থাকাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন অনুপ্রিয়া। সারা জীবন বাড়তি ওজন নিয়ে কাটালেও সন্তান হওয়ার পর তার ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫ কেজিতে। স্থুলতার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতেও কষ্ট হতো তার। এমনকি নিজের শিশু সন্তানের ঠিকঠাক যত্নও নিতে পারতেন না তিনি।

এরপর ওজন কমানোর জন্য বন্ধপরিকর হন অনুপ্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের ওজন কমানোর গল্প পড়ে অনুপ্রাণিত হন। ২০১৬ সালে শুরু করেন অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম  করা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনের জন্যও ব্যায়াম করা বন্ধ করেননি অনুপ্রিয়া।

ব্যায়াম করার পাশাপাশি রান্নাবান্নায় কিছু পরিবর্তন আনেন তিনি।  তেলের বদলে রোজকার রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে শুরু করেন। লবণ খাওয়া কমিয়ে দেন, বাদ দেন চিনি খাওয়া।  প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করেন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি।  এমনকি মাঝে মাঝে নিজের প্রিয় খাবার চিকেন বিরিয়ানিও খেয়েছেন অনুপ্রিয়া।  সাধারণত দুপুরের খাবারে চিকেন বিরিয়ানি রাখতেন তিনি। অবশ্য প্রিয় খাবার হলেও মাত্রাতিরিক্ত খাননি তিনি। সব সময় মেপে খেয়েছেন।

এমনকি পরিমিত পরিমানে ভাতও খেয়েছেন তিনি।

অনুপ্রিয়ার মতে, নিজের প্রিয় খাবার খাওয়া বাদ না দেওয়ায় কখনো অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছু খাওয়ার জন্য তীব্র বাসনা তৈরি হতো তার। এজন্য তাকে চিটডে নিতে হয়নি। যা তার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এভাবে ১৮ মাসে ৫০ কেজি কমাতে সক্ষম হন অনুপ্রিয়া। ২০১৭ সালে ১১৫ কেজি থেকে  ৬৫  কেজি ওজন তার হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফিটনেস সায়েন্সে থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন তিনি।

২০১৮ সালে ফিটনেস পরামর্শক এবং পুষ্টিবিদ হিসেবে  ওয়েটটুগো নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি মানুষকে নিজের কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন অনুপ্রিয়া।