ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মাসেতুর সুফলে মোংলা বন্দর দিয়ে আবারও ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য গেলো পোল্যান্ডে

গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম উল্ল্যেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তারমধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথেই এ বন্দর দিয়ে রেডিমেইড গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানী শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দর দিয়ে আবারো গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী জাহাজ এম,ভি মারেস্ক কিনঝো। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের ৫নম্বর জেটি থেকে গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই ২০ফিটের ২০ টিউজ কন্টেইনার নিয়ে ছেড়ে যায় এ জাহাজটি। জাহাজটিতে ঢাকার ফকির নিটওয়ার লিঃ, এপেক্স  লিংগারি লিঃ, এপেক্স স্পিনিং লিঃ, নিট কনসার্ন লিঃ, ফ্লামিংগো ফ্যাশান লিঃ, অনন্ত গার্মেন্টস লিঃ, লিবারর্টি নিটওয়ার লিঃ, এ কে এম নিটওয়ার লিঃ, স্টালিং ডেনিমস লিঃ, স্টালিং স্টাইলস লিঃ গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর বাচ্চাদের পোশাক, হেয়ার ব্যান্ড, লেগিংস , ট্রাওজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য গেছে পোল্যান্ডে।

মুলত পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর সর্বপ্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানী শুরু হয় ২০২২সালের ২৭ জুলাই। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ৫ম চালানে গার্মেন্টস পণ্য গেলো বিদেশে। এছাড়া আগামী ২২ জুন এম,ভি ‘মারস্ক মংলা’ নামক আরেকটি জাহাজে গার্মেন্টস পণ্য বিদেশে রপ্তানীর প্রক্রিয়া চলছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিঃ মিঃ, আর ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিঃ  মিঃ। তাই দূরত্ব কম হওয়াতে রাজধানীসহ আশপাশের শিল্প কলকারখানার মালিকেরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং একই সাথে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুইয়েরই সাশ্রয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানীতে ঝুঁকে পড়েছেন।

মুলত মোংলা বন্দরে দ্রুত জাহাজ হ্যান্ডেলিং, জেটির অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, সময় সাশ্রয় নিয়ম অনুসরণ না করা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা বন্দর বলেও জানান উপ-সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পদ্মাসেতুর সুফলে মোংলা বন্দর দিয়ে আবারও ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য গেলো পোল্যান্ডে

আপডেট টাইম : ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম উল্ল্যেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তারমধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথেই এ বন্দর দিয়ে রেডিমেইড গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানী শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দর দিয়ে আবারো গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী জাহাজ এম,ভি মারেস্ক কিনঝো। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের ৫নম্বর জেটি থেকে গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই ২০ফিটের ২০ টিউজ কন্টেইনার নিয়ে ছেড়ে যায় এ জাহাজটি। জাহাজটিতে ঢাকার ফকির নিটওয়ার লিঃ, এপেক্স  লিংগারি লিঃ, এপেক্স স্পিনিং লিঃ, নিট কনসার্ন লিঃ, ফ্লামিংগো ফ্যাশান লিঃ, অনন্ত গার্মেন্টস লিঃ, লিবারর্টি নিটওয়ার লিঃ, এ কে এম নিটওয়ার লিঃ, স্টালিং ডেনিমস লিঃ, স্টালিং স্টাইলস লিঃ গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর বাচ্চাদের পোশাক, হেয়ার ব্যান্ড, লেগিংস , ট্রাওজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য গেছে পোল্যান্ডে।

মুলত পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর সর্বপ্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানী শুরু হয় ২০২২সালের ২৭ জুলাই। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ৫ম চালানে গার্মেন্টস পণ্য গেলো বিদেশে। এছাড়া আগামী ২২ জুন এম,ভি ‘মারস্ক মংলা’ নামক আরেকটি জাহাজে গার্মেন্টস পণ্য বিদেশে রপ্তানীর প্রক্রিয়া চলছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিঃ মিঃ, আর ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিঃ  মিঃ। তাই দূরত্ব কম হওয়াতে রাজধানীসহ আশপাশের শিল্প কলকারখানার মালিকেরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডেলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং একই সাথে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুইয়েরই সাশ্রয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানীতে ঝুঁকে পড়েছেন।

মুলত মোংলা বন্দরে দ্রুত জাহাজ হ্যান্ডেলিং, জেটির অভ্যন্তরে কন্টেইনার স্টাফিং সুবিধা, সময় সাশ্রয় নিয়ম অনুসরণ না করা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা বন্দর বলেও জানান উপ-সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান।