বালিকা বা কিশোরী বয়সের মেয়েরা খেলাধুলা না করলেই নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হয়। যেমন-
১. কৈশোরে অনেক মেয়ের হঠাৎ করে ওজন বাড়তে থাকে। মোটেও খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এ জন্য দায়ী। তবে এই ওজন বৃদ্ধি নানা রকমের হরমোনজনিত সমস্যার সৃষ্টি করে। পরিণামে মাসিকের গোলমাল, গায়ে অবাঞ্ছিত লোম, ডিম্বাশয়ে সিস্ট, রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।
২. কৈশোর-তারুণ্য পর্যন্ত শরীরের হাড়ের ঘনত্ব সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। এই ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় কতটুকু হবে। আর এই ঘনত্ব তৈরিতে ব্যায়াম, খেলাধুলার যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি ভূমিকা আছে সূর্যালোকের।
৩. গবেষণায় দেখা যায়, শৈশব-কৈশোরে নিয়মিত খেলাধুলা করলে পরবর্তী জীবনে মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ কমে।
৪. অল্প বয়সে খেলাধুলার অভাবে ওজন বৃদ্ধি পরবর্তীকালের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. খেলাধুলা ও ব্যায়াম কিশোরীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে-এটা প্রমাণিত। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ ও দক্ষতা বাড়ে।
ফিমেল ফরচুন পত্রিকা বিশ্বসেরা ৫০০ জন সফল নারী কর্মকর্তার ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে, তাদের ৮০ শতাংশই কৈশোরে ছোটাছুটি করতেন খেলতেন।
লেখক: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা