ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মাছ ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়া ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা বা পোয়া মাছ ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় মাছটি কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ মনো এই মাছটি কিনেছেন।

এরআগে, একই দিন দুপুরে মাছটি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে ধরা পড়ে। পরে তিনি কালো পোপা বা পোয়া মাছটি শামলাপুরের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

মো. ইউনুস বলেন, ‘মাছটি জালে ধরা পড়ার খবর পেয়ে ছুটে গেলাম। পরে মাছটি সোনালী পোয়া ভেবে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করি। পরে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আনার পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম এটি কালো পোয়া। দর কষাকষির পর শামীম আহমেদ মনোকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। যদি এটি সোনালী পোয়া হতো তবে ৪০ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারতাম।’

সৈয়দ আহমদের ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য ৫ জেলে মিলে বঙ্গোপসাগরে রওনা করি। বারোবাইন নামের স্থানে গিয়ে আমরা সাগরে জাল ফেলি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে হরেক রকমের মাছের সঙ্গে একটি বড় পোয়া মাছ আটকা পড়ে। কূলে এনে এটি বিক্রি করা হয়।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড় পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট বা সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটি বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

এক মাছ ৯ লাখ টাকায় বিক্রি

আপডেট টাইম : ০৭:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফে ধরা পড়া ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা বা পোয়া মাছ ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় মাছটি কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ মনো এই মাছটি কিনেছেন।

এরআগে, একই দিন দুপুরে মাছটি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে ধরা পড়ে। পরে তিনি কালো পোপা বা পোয়া মাছটি শামলাপুরের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইউনুসকে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

মো. ইউনুস বলেন, ‘মাছটি জালে ধরা পড়ার খবর পেয়ে ছুটে গেলাম। পরে মাছটি সোনালী পোয়া ভেবে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করি। পরে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আনার পর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম এটি কালো পোয়া। দর কষাকষির পর শামীম আহমেদ মনোকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। যদি এটি সোনালী পোয়া হতো তবে ৪০ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারতাম।’

সৈয়দ আহমদের ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য ৫ জেলে মিলে বঙ্গোপসাগরে রওনা করি। বারোবাইন নামের স্থানে গিয়ে আমরা সাগরে জাল ফেলি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে হরেক রকমের মাছের সঙ্গে একটি বড় পোয়া মাছ আটকা পড়ে। কূলে এনে এটি বিক্রি করা হয়।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড় পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট বা সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটি বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়।