ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌসূমী রোপা আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা

এবার মৌসূমী রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যেই মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ৭৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে কৃষকেরা তাদের জমিতে এ রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করে। ইতিমধ্যেই এ লক্ষ্যমাত্রার ৮১ ভাগ জমিতে এ চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ জেলার শয্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় এ ধান চাষাবাদে বেশি ঝুকছে কৃষকেরা। এ তিন উপজেলাসহ অনেক স্থানে মাঠে মাঠে ইতিমধ্যেই সবুজের সমারোহ ছেয়ে গেছে। ধান ক্ষেত পরিচর্যার কাজে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা। অনেক স্থানে এখনও নামি আমন ধানের চারাও রোপণ করছে কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এ চাষাবাদ শুরু থেকেই দফায় দফায় বর্ষণে জমিতে চারা রোপণে কিছুটা উপকৃত হয়েছি। তবে সেচ, সার, ধানের চারা ও শ্রমিক খরচসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হলেও এ চাষাবাদে ঝুকছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা রয়েছে। এ উৎপাদিত ধানের বাজার মূল্য ভালো থাকলে লাভবান হবে কৃষকেরা। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ লাভজনক মৌসূমি রোপা আমন ধান চাষাবাদে কৃষকদের নানা রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে এ পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে এ চাষাবাদে কৃষকের তুলনা মূলকভাবে খরচ কম। এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌসূমী রোপা আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা

আপডেট টাইম : ০২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

এবার মৌসূমী রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যেই মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ৭৪ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে কৃষকেরা তাদের জমিতে এ রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করে। ইতিমধ্যেই এ লক্ষ্যমাত্রার ৮১ ভাগ জমিতে এ চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ জেলার শয্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় এ ধান চাষাবাদে বেশি ঝুকছে কৃষকেরা। এ তিন উপজেলাসহ অনেক স্থানে মাঠে মাঠে ইতিমধ্যেই সবুজের সমারোহ ছেয়ে গেছে। ধান ক্ষেত পরিচর্যার কাজে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা। অনেক স্থানে এখনও নামি আমন ধানের চারাও রোপণ করছে কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এ চাষাবাদ শুরু থেকেই দফায় দফায় বর্ষণে জমিতে চারা রোপণে কিছুটা উপকৃত হয়েছি। তবে সেচ, সার, ধানের চারা ও শ্রমিক খরচসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হলেও এ চাষাবাদে ঝুকছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা রয়েছে। এ উৎপাদিত ধানের বাজার মূল্য ভালো থাকলে লাভবান হবে কৃষকেরা। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ লাভজনক মৌসূমি রোপা আমন ধান চাষাবাদে কৃষকদের নানা রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে এ পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে এ চাষাবাদে কৃষকের তুলনা মূলকভাবে খরচ কম। এবার আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।