ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকার ‘আন্তরিক’

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মিয়ানমার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেনের পরিচয়পত্র গ্রহণের পর তার সঙ্গে আলাপকালে মিন অং হ্লাইং এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

মিন অং হ্লাইংকে রাষ্ট্রদূত জানান, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছাধীন প্রত্যাবাসন শুরু বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

জবাবে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে তার সরকারের ‘আন্তরিক’ রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও আন্তর্দেশীয় সংযোগ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী এই কর্মসূচিতে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজারে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয়ে আছে। ২০১৭ সালে তাদের রাখাইনে ফেরাতে দুই দেশ তিনটি চুক্তি সই করে। তবে প্রত্যাবাসন গত ছয় বছরে শুরু হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকার ‘আন্তরিক’

আপডেট টাইম : ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মিয়ানমার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেনের পরিচয়পত্র গ্রহণের পর তার সঙ্গে আলাপকালে মিন অং হ্লাইং এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

মিন অং হ্লাইংকে রাষ্ট্রদূত জানান, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই ও স্বেচ্ছাধীন প্রত্যাবাসন শুরু বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

জবাবে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে তার সরকারের ‘আন্তরিক’ রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। তিনি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জোরালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও আন্তর্দেশীয় সংযোগ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী এই কর্মসূচিতে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন জেলা কক্সবাজারে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয়ে আছে। ২০১৭ সালে তাদের রাখাইনে ফেরাতে দুই দেশ তিনটি চুক্তি সই করে। তবে প্রত্যাবাসন গত ছয় বছরে শুরু হয়নি।