ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের ২ বিলিয়ন ডলার দিতে হচ্ছে না কানাডার প্রতিষ্ঠানকে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  রানা প্লাজা ধসের পর হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এরইমধ্যে ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান লবলো। কোনও কোনও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যখন ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে, তখন তারা প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের পুরো অর্থই ছাড় করে। এ ইস্যুতে আদালতের সিদ্ধান্তে তাই খুশি লবলো। রায়ের পর প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র কেভিন গ্রোহ এক বিবৃতিতে আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অধিকারের ব্যাপারে  লবলো সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক পল পেরেল রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, অভিযোগকারী আইনি প্রতিষ্ঠান রোচন-জেনোভা এলএলপি নিজেদের দাবির পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভবনটি ধসের ঘটনায় লবলো এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

রোচন-জেনোভা এলএলপি বলছে, রানা প্লাজায় অবস্থিত পোশাক কারখানার ক্রেতা ও তৈরি পোশাকের বিপণন প্রতিষ্ঠান হিসেবে লবলো এবং জো ফ্রেশ কোনওভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারে না। কারণ তারা পোশাক তৈরির সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে ওই ভবনে স্থাপিত পোশাক কারখানাগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এ দুই প্রতিষ্ঠান কর্মস্থলের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। তারা নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থাও রাখেনি। তা সত্ত্বেও ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে।

কানাডার  সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান পার্ল গ্লোবাল এবং নিউ ওয়েভ লবলো’র এজেন্ট ছিল না। প্রতিষ্ঠান দুটি লবলো’র প্রশাসন কিংবা কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত নয়। এমনকি তারা লবলো’র স্বাধীন কন্ট্রাকটরও ছিল না।  রায়ে বলা হয়, নিউ ওয়েভ শুধু পণ্য বিক্রি করেছে। তারা লবলো’র প্রতিনিধিত্বকারী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়। লবলো’র পক্ষ থেকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়নি। পার্ল গ্লোবাল এবং নিউ ওয়েভ-এর পণ্য উৎপাদনের ওপর লবলো’র কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিজেদের কর্মীদের সঙ্গে তাদের আচরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত রানা প্লাজা নামের ওই বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটিতে একাধিক তৈরি পোশাক কারখানা ছিল। ভয়াবহ সেই ভবন ধসের ঘটনায় ১১শ-এরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের ২ বিলিয়ন ডলার দিতে হচ্ছে না কানাডার প্রতিষ্ঠানকে

আপডেট টাইম : ০২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  রানা প্লাজা ধসের পর হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এরইমধ্যে ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান লবলো। কোনও কোনও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যখন ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে, তখন তারা প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণের পুরো অর্থই ছাড় করে। এ ইস্যুতে আদালতের সিদ্ধান্তে তাই খুশি লবলো। রায়ের পর প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র কেভিন গ্রোহ এক বিবৃতিতে আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অধিকারের ব্যাপারে  লবলো সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক পল পেরেল রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, অভিযোগকারী আইনি প্রতিষ্ঠান রোচন-জেনোভা এলএলপি নিজেদের দাবির পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভবনটি ধসের ঘটনায় লবলো এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

রোচন-জেনোভা এলএলপি বলছে, রানা প্লাজায় অবস্থিত পোশাক কারখানার ক্রেতা ও তৈরি পোশাকের বিপণন প্রতিষ্ঠান হিসেবে লবলো এবং জো ফ্রেশ কোনওভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারে না। কারণ তারা পোশাক তৈরির সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে ওই ভবনে স্থাপিত পোশাক কারখানাগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এ দুই প্রতিষ্ঠান কর্মস্থলের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। তারা নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থাও রাখেনি। তা সত্ত্বেও ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে।

কানাডার  সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান পার্ল গ্লোবাল এবং নিউ ওয়েভ লবলো’র এজেন্ট ছিল না। প্রতিষ্ঠান দুটি লবলো’র প্রশাসন কিংবা কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত নয়। এমনকি তারা লবলো’র স্বাধীন কন্ট্রাকটরও ছিল না।  রায়ে বলা হয়, নিউ ওয়েভ শুধু পণ্য বিক্রি করেছে। তারা লবলো’র প্রতিনিধিত্বকারী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়। লবলো’র পক্ষ থেকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়নি। পার্ল গ্লোবাল এবং নিউ ওয়েভ-এর পণ্য উৎপাদনের ওপর লবলো’র কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিজেদের কর্মীদের সঙ্গে তাদের আচরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত রানা প্লাজা নামের ওই বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটিতে একাধিক তৈরি পোশাক কারখানা ছিল। ভয়াবহ সেই ভবন ধসের ঘটনায় ১১শ-এরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়।