ঢাকা , বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের ‌যে কারণ জানা গেল

পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা গেছে।ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটিকেই এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে দায়ী করছেন দেশটির ফায়ার কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলোযোগ তৈরি হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে দেশটির স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই দুর্ঘটনার কারণ পাখির আঘাত বা খারাপ আবহাওয়ার ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যৌথ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ ঘোষণা করা হবে।’

স্থানীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৮১ যাত্রী নিয়ে জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে আঘাতের ফলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের বিমানটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।

কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর বিমানটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন যাত্রী ও একজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

এদিকে মুয়ান শহরে বিমান দুর্ঘটনরার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চলমান উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইয়োনহাপ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের ‌যে কারণ জানা গেল

আপডেট টাইম : ১২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা গেছে।ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটিকেই এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে দায়ী করছেন দেশটির ফায়ার কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে গোলোযোগ তৈরি হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে দেশটির স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই দুর্ঘটনার কারণ পাখির আঘাত বা খারাপ আবহাওয়ার ঘটনা বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যৌথ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ ঘোষণা করা হবে।’

স্থানীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৮১ যাত্রী নিয়ে জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে আঘাতের ফলে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের বিমানটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।

কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর বিমানটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন যাত্রী ও একজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

এদিকে মুয়ান শহরে বিমান দুর্ঘটনরার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চলমান উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইয়োনহাপ।