ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মার্কিন রণতরীতে হুতির হামলা

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি যোদ্ধারা ইসরায়েলি ও মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। তারা সাম্প্রতিক ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কড়া জবাব দিয়েছে দাবি করে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের বিরুদ্ধে একটি বড় বিমান হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে খবর পাওয়ার পর এই হামলা চালায় হুথি যোদ্ধারা।

তবে এবার হুথির হামলা থেকে বাদ যায়নি ইসরায়েলের বিমান বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমনকি এ হামলা থেকে লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন রণতরীও রেহাই পায়নি।

দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ‘ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটগুলো ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেলআবিবের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।’

এছাড়া, ইয়েমেনি বাহিনী জুলফিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত আল-কুদসের দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।

জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এবং উচ্চ মাত্রায় ম্যানুভার করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।

সারি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিশোধমূলক এসব হামলা সফল এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

এদিকে, ইয়েমেনের নৌবাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী এবং ড্রোন ইউনিট মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজে বহুমুখী অভিযান চালিয়েছে।

এ হামলায় বহুসংখ্যক কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ইসরায়েলের বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মার্কিন রণতরীতে হুতির হামলা

আপডেট টাইম : ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি যোদ্ধারা ইসরায়েলি ও মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। তারা সাম্প্রতিক ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কড়া জবাব দিয়েছে দাবি করে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের বিরুদ্ধে একটি বড় বিমান হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে খবর পাওয়ার পর এই হামলা চালায় হুথি যোদ্ধারা।

তবে এবার হুথির হামলা থেকে বাদ যায়নি ইসরায়েলের বিমান বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমনকি এ হামলা থেকে লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন রণতরীও রেহাই পায়নি।

দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ‘ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটগুলো ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তেলআবিবের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।’

এছাড়া, ইয়েমেনি বাহিনী জুলফিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত আল-কুদসের দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।

জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এবং উচ্চ মাত্রায় ম্যানুভার করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি।

সারি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিশোধমূলক এসব হামলা সফল এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

এদিকে, ইয়েমেনের নৌবাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী এবং ড্রোন ইউনিট মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজে বহুমুখী অভিযান চালিয়েছে।

এ হামলায় বহুসংখ্যক কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।