পবিত্র কুর’আনের সুরা আসরে যে হাকিকত বর্ণনা করা হয়েছে তা আমাদের জীবনের পাথেয়। এই সুরা আমাদের দুনিয়াবি জীবনের খোলাসা।
মানুষের এই দুনিয়ার জীবনে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ হায়াত থাকে। কারো ৩০ থেকে ৪০, কারো বা ৬০ থেকে ৭০ বছর। এবং দুনিয়াতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষও আছে, কেউ রাজা কেউ প্রজা, কেউ ডাক্তার কেউ উকিল।
মানুষ যেমনই হোক না কেন, তাকে এই দুনিয়ার সময়কে অতিবাহিত করে আখেরাতের অনন্তকালের সময়ের দিকে তাকে যাত্রা করতে হবে।
এটা মুসলমানের মৌলিক বিশ্বাস। এই আকিদা বা বিশ্বাস ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারে না। তাই এখানে সেই অনন্তকালের জীবনে যদি আমরা ভালো কাজ এবং ইমান ছাড়া পৌঁছাই তাহলে নির্ঘাত আমরা ক্ষতির মধ্যে থাকবো।
এজন্য এমন চারটি বিষয় আছে যেগুলোও ওপর নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারলে ওই সময় আমাদের জন্য কখনো ক্ষতির হবে না। যে চারটি কথা কুর’আনে সুরা আসরে বলা হয়েছে।
এক. ইমান। ইমান ছাড়া কেউই সফল হতে পারে না।
দুই. সৎ কাজ করা। নেক আমল করা। নিজের দৈনন্দিন কাজ সততার সঙ্গে করা। সেটা আমার ব্যাবসা হোক, চাকরি হোক অথবা নামাজ হোক কিংবা রোজা। যাই হোক সমস্ত কাজ সততার সঙ্গে আঞ্জাম দেওয়া। এবং এই ব্যাপারে নিজের সাথে প্রশ্নোত্তর করা যে, আসলে আমি কতখানি সততার সাথে চলছি আর কতটুকু চলা প্রয়োজন?
তিন. পরস্পরে সত্যের দাওয়াত দেয়া। ভালো কথা, কাজের ব্যাপারে আলোচনা। হয়ত অনেকেই সাদরে গ্রহণ করবে না তবুও বলতে থাকা এবং নিজে তা করতে থাকা।
চার. ধৈর্যের সঙ্গে থাকা। মনে হবে, মানুষকে আর কত বলবো! আমার কথায় সাড়া দেয় না। অবহেলা করে। কিন্তু এরপরও ধৈর্যের সাথে ইমান, আমল এবং সততার সাথে লেগে থাকা।
এই পন্থায় কোনো মানুষ যদি দুনিয়ার এই জীবনকে পরিচালনা করতে পারে তাহলে আখেরাত জীবনের ক্ষতি থেকে সে পরিত্রাণ পাবে। এটাই সুরা আসরে আল্লাহ তা’আলার প্রতিজ্ঞা।