সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও রাজনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে আওয়ামী লীগ বেশি এ দাবি টেকগ্লোবাল ইন্সটিটিউটের (টিজিআই) এর। বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর) এ প্রতিষ্ঠান একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘যেভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ফেসবুক’।
প্রতিবেদনের মতে , আওয়ামী লীগ ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ চালু করে।
এর দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সালে বিএনপি তাদের পেজ চালু করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, অনানুষ্ঠানিক ইনফ্লুয়েনসারদের উদ্যোগে ততদিনে ফেসবুকে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির তুলনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল অনেকটাই কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ, দলটির বেশিরভাগ কনটেন্ট অল্প কয়েকটি মাধ্যম থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে, বিএনপির কৌশল ভিন্ন। খুব সম্ভবত তাদের সমর্থকরাই তাদের কনটেন্টের অরগ্যানিক রিচ বাড়াতে সহায়তা করে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে রয়েছে ৩৪ লাখ ফলোয়ার। টিজিআই’র বিশ্লেষণ চলাকালীন এই পেজ থেকে তৃতীয় পক্ষের লিংক বাদে নয় হাজার ৫০০ কনটেন্ট শেয়ার করা হয়েছে। দলটি দিনের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একটি করে কনটেন্ট শেয়ার করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, আওয়ামী লীগ গত এক বছরে দৈনিক অন্তত ২৫টি করে কনটেন্ট ওই ভেরিফায়েড পেজ থেকে শেয়ার করেছে।
আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে মূল পোস্ট আসার ১৩ দিনের মধ্যে ৯১টি মাধ্যম (ব্যবহারকারী, পেজ বা পাবলিক গ্রুপ) একই কনটেন্ট অন্তত এক বার করে শেয়ার করেছে। বিপরীতে বিএনপির ক্ষেত্রে এমন মাধ্যমের সংখ্যা ৫০।
প্রতিবেদন অনুসারে ফেসবুকে এ দুদলের সমর্থকরা পোস্ট দিয়ে অনেক কারসাজি করে রিচ বাড়ানোর।
দেখা গেছে প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পোস্টগুলো তাদের মোট শেয়ারের এক শতাংশ পায়। পরবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যে বিএনপির পোস্টটি কেউ শেয়ার না করলেও আওয়ামী লীগের পোস্টটি এর মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ পায়।
তবে যতো সময় যাচ্ছে ততোই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।