ইন্টারনেট ব্রাউজারগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রোম। গুগলের তৈরি ব্রাউজারটি ব্যবহার করেন অধিকাংশ ব্যবহারকারীই। ফলে এর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। কারণ সাইবার অপরাধীরা ক্রোম ব্রাউজার লক্ষ্য করে নিয়মিত সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে। অনেকেই জানেন না যে ব্যবহারকারীদের সাইবার হামলা থেকে রক্ষার জন্য বেশ কিছু নিরাপত্তাসুবিধা রয়েছে এতে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১. ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন আসা বন্ধ রাখতে পারেন। ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক বা একাধিক নোটিফিকেশন বার্তা দেখা যায়। নোটিফিকেশন বার্তায় ক্লিক করার ফলে ম্যালওয়্যার আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। ক্রোম ব্রাউজারের সেটিংসে প্রবেশ করে ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন আসা বন্ধ রাখতে পারেন।
২. এনহ্যান্সড সেফ ব্রাউজিং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাসুবিধা। এ সুবিধা চালু থাকলে সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ক্রোম ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে থাকে গুগল। ব্রাউজারের সেটিংস থেকে ‘প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ থেকে ‘সেফ ব্রাউজিং’ অপশন নির্বাচন করলে এই সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
৩. ভুয়া ব্রাউজার এক্সটেনশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আর্থিক লেনদেনের তথ্যসহ ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস সংগ্রহ করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এ সমস্যা সমাধানে ক্রোম ব্রাউজারের সেটিংস থেকে দ্রুত সন্দেহজনক বিভিন্ন এক্সটেনশন মুছে ফেলা যায়।
৪. ওয়ান টাইম ওয়েবসাইট পারমিশন সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। এতে যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য যন্ত্রের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের সাময়িক অনুমতি দেওয়া যায়। অর্থাৎ শুধু একবার তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার ফলে পরবর্তী সময় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না ওয়েবসাইট।
৫. গুগল ক্রোম ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করে তা সংরক্ষণ করা যায়। ফলে পাসওয়ার্ড জটিল হলেও তা মনে রাখার প্রয়োজন হয় না।
৬. চালু রাখতে পারেন ইনকগনিটো মোড। এই সুবিধা চালু থাকলে ব্যবহারকারীর সার্চ ইতিহাস, কুকিজ ও ডাউনলোডের তথ্য ক্রোম ব্রাউজারে সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে নিরাপদ থাকা যায়।