ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রোন ওড়াতে লাগবে অনুমতি

দেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য ন্যূনতম ৪৫ দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট, বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টরের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়া বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয় যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এরকম একটা অবস্থায় জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিষ্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

এ ছাড়া বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, নিরাপদ উড্ডয়নে সহযোগিতা করা সকলেরই দায়িত্ব। বাংলার আকাশকে উড্ডয়নের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ড্রোন ওড়াতে লাগবে অনুমতি

আপডেট টাইম : ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য ন্যূনতম ৪৫ দিন আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট, বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টরের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ছাড়া বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয় যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এরকম একটা অবস্থায় জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিষ্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd) প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।

এ ছাড়া বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, নিরাপদ উড্ডয়নে সহযোগিতা করা সকলেরই দায়িত্ব। বাংলার আকাশকে উড্ডয়নের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।