বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এসএসসির ধারাবাহিকতায় এইচএসসিতেও পাসের হার কমার কারণ খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন-দাবি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আগে সাধারণ কথায় প্রচলিত হয়ে গেছিল, খাতা ওজন করে নম্বর দেয়া হয়। এখন যে সুযোগটা আর নেই। এখন খাতা দেখেই নম্বর দিতে হয়।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার কার্যালয়ে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তুলে দিয়ে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে ৪.৭ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ কমেছে ২০ হাজার ৫৫০ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসিতে খাতা দেখার পদ্ধতিটা আমরা এই প্রথম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রয়োগ করেছি। যার ফলে এখানেও আমরা সেই ধরনের ফলাফল দেখতে পাচ্ছি।’
এই মূল্যায়নপদ্ধতি প্রয়োগ কী কাজ করতে হয়েছে সেটাও ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল খাতাটা যেন সঠিকভাবে আমাদের টিচাররা দেখেন। এটা করতে গিয়ে আমরা আগে প্রধান পরীক্ষককে ট্রেনিং দিয়েছি, তিনিই বাকিদেরকে ট্রেনিং দিয়েছেন। কী উত্তর হতে পারে, সম্ভাব্য যে উত্তর লিখে পরীক্ষকদেরকে দেয়া হয়েছিল। উত্তর দেয়ার ফলে তারা সেটা মূল্যায়ন করে নম্বর দিতে পেরেছেন।’
‘তারপরও আমরা সতর্ক থাকার জন্য ওই শিক্ষকদের সাড়ে ১২ শতাংশ খাতা যে কোনো সময় পরীক্ষার জন্য নিয়োগ করে দিয়েছিলাম। এমনকি প্রধান পরীক্ষকেরটাও আমরা করেছি। যার ফলে এই ক্ষেত্রে ফাঁকি দেয়াটা কঠিন হয়েছে এবং যথাযথ মূল্যায়নটা আমরা করতে পেরেছি।’
নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পাসের হার কমে আসলেও তা আবার বাড়বে বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘খাতার সঠিক মূল্যায়নের ফলে এটা স্বাভাবিক পরিণতি এবং আস্তে আস্তে এর উন্নতি হবে এবং সবাই পড়ালেখায় মনযোগ দেবে। আগে সাধারণ কথায় প্রচলিত হয়ে গেছে, খাতা ওজন করে নম্বর দেয়া হয়। এখন যে সুযোগটা আর নেই। এখন খাতা দেখেই নম্বর দিতে হয়।’
নতুন খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও কী প্রভাব পড়েছিল সেটা স্মরণ করিয়ে দেন নাহিদ। বলেন, ‘আমাদের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার আরও বেশি কমেছিল। সেটা ছিল আট শতাংশ। এইচএসসিতে সেই তুলনায় আরও ভাল হয়েছে, কমেছে ৫.৭ শতাংশ। এটাকে আমরা ইতিবাচক মনে করি।’
‘এই কমাটায় আমরা বিস্মিত হইনি, বরং সাফল্য যে আমরা সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাই ভিত্তি এবং ভবিষ্যতে আমরা আরও মান বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাব।’
গত বছর আমরা ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর সকল বিষয়েই আমরা নিতে পারছি।