প্রতিদিন মেট্রো রেলে যতসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে, জরিপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এর প্রায় ২.৫ শতাংশ।
আবার মেট্রো স্টেশনের সংযোগ সড়ক নিয়েও অসন্তুষ্টি রয়েছে। যাত্রীরা বলছে, মেট্রোর এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের চলাচল সুবিধাজনক।
যাত্রীরা বলছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় স্বল্প সময়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
বুয়েট জানিয়েছে, সংজ্ঞা মেনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে মেট্রো রেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ৪২টি প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হয়। প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবাসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে যাত্রীদের অসন্তুষ্টি থাকলেও কোনো বিষয় নিয়ে যাত্রীদের তীব্র অভিযোগ ছিল না।
জরিপে মেট্রো রেলের ভাড়া নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রায় ১৫ শতাংশ যাত্রী। তারা বলছে, মেট্রোর ভাড়া আরো কিছুটা কম হলে তাদের জন্য সুবিধা হতো। বাকি যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু প্রায় ৩০ শতাংশ যাত্রীর সংযোগ সড়কের ভাড়া নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে।
মেট্রো রেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছে, এর মধ্যে ৫৯.৪১ শতাংশ ছিল বাসের যাত্রী। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করে, এমন যাত্রীদের মাত্র ৪.৫১ শতাংশ মেট্রো রেল ব্যবহার করেছে। মেট্রোতে সবচেয়ে কম উঠেছে যারা, ভাড়া করা কার ব্যবহার করে এমন যাত্রীরা। তারা মেট্রোর মোট যাত্রীর ২.৪৩ শতাংশ।
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৪.৯৬ শতাংশ অটোরিকশা ব্যবহারকারী, ৬.৮ শতাংশ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী, ৫.৩ শতাংশ রিকশার যাত্রী, ৩.৬৫ শতাংশ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের যাত্রী এবং ২.৯৩ শতাংশ অন্যান্য পরিবহন ব্যবহারকারী মেট্রোতে চলাচল করেছে।