(সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০০)
সিরাত গবেষক ও ঐতিহাসিকরা মোটামুটি একমত যে সর্বপ্রথম ঈমান গ্রহণকারী ব্যক্তিরা ছিলেন মহানবী (সা.)-এর পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠজন।
(সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০০)
সিরাত গবেষক ও ঐতিহাসিকরা মোটামুটি একমত যে সর্বপ্রথম ঈমান গ্রহণকারী ব্যক্তিরা ছিলেন মহানবী (সা.)-এর পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠজন।
এরপর ইসলাম গ্রহণ করেন বনু হারিস বিন ফিহর গোত্রের আবু উবায়দা আমির ইবনুল জাররাহ (রা.), আবু সালামা বিন আবদুল আসাদ মাখজুমি (রা.), আরকাম ইবনে আবিল আরকাম (রা.), উসমান বিন মাজউন জুমাহি (রা.) এবং তাঁর দুই ভাই কুদামা ও আবদুল্লাহ, উবায়দা বিন হারিস বিন মুত্তালিব, সায়িদ বিন জায়েদ এবং তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ ওমর (রা.)-এর বোন ফাতেমা বিনতে খাত্তাব, খাব্বাব বিন আরাত তামিমি (রা.), জাফর বিন আবি তালিব ও তাঁর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস, খালিদ বিন সায়িদ বিন আস আল উমাবি ও তাঁর স্ত্রী আমিনা বিনতে খালাফ। অতঃপর তাঁর ভাই আমর বিন সায়িদ বিন আস, হাতিব বিন হারিস জুমাহি ও তাঁর স্ত্রী ফাতিমা বিনতে মুখাল্লিল এবং তাঁর ভাই খাত্তাব বিন হারিস, তাঁর স্ত্রী ফুকাইহা বিনতে ইয়াসার ও তাঁর ভাই মা’মার বিন হারিস, মুত্তালিব বিন আজহার জুহরি এবং তাঁর স্ত্রী রামলা বিনতে আবু আউফ, নাঈম বিন আবদুল্লাহ বিন নুহাম আদবি (রা.)। তাঁদের সবাই কুরাইশ ও কুরাইশের বিভিন্ন শাখা গোত্রের সন্তান ছিলেন।
কুরাইশের বাইরে অন্য গোত্র থেকে প্রাথমিক অবস্থায় ইসলাম গ্রহণকারীরা হলেন আবদুল্লাহ বিন মাসউদ, মাসউদ বিন রাবিআ, আবদুল্লাহ বিন জাহাশ আসাদি ও তাঁর ভাই আহমাদ বিন জাহশ, বিলাল বিন রিবাহ হাবশি, সুহাইব বিন সিনান রুমি, আম্মার বিন ইয়াসার আনসি, তাঁর পিতা ইয়াসার ও তাঁর মাতা সুমাইয়া এবং আমির বিন ফুহাইরা (রা.)। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের মুসলমান নারীদের মধ্যে আছেন উম্মু আইমান বারাকাত হাবশি, উম্মুল ফদল লুবাবাতুল কুবরা বিনতে হারিস হিলালিয়া (আব্বাস বিন আবদুল মুত্তালিবের স্ত্রী), আসমা বিনতে আবু বকর সিদ্দিক (রা.)।
উল্লিখিত ব্যক্তিরা প্রথম পর্যায়ের ইসলাম গ্রহণকারী হিসেবে প্রসিদ্ধ। বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে প্রথম পর্যায়ের ইসলাম গ্রহণকারীর গুণে গুণান্বিতদের সংখ্যা পুরুষ-নারী মিলে ৩০০ জন। তবে এটা অকাট্যভাবে জানা যায়নি যে তাঁরা সবাই প্রকাশ্যে দাওয়াত চালু হওয়ার আগেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, নাকি ইসলামের দাওয়াত প্রকাশ্যভাবে চালু হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কেই কেউ ইসলাম গ্রহণে বিলম্ব করেছিলেন।
উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে জায়েদ বিন হারিসা (রা.) যুদ্ধে বন্দি হয়ে দাসে পরিণত হন। পরে খাদিজা (রা.) তাঁর মালিক হন এবং তাঁকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সেবায় নিযুক্ত করেন। এরপর তাঁর পিতা ও চাচা তাঁকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মক্কায় আসেন। কিন্তু তিনি বাড়ি না গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে থাকাকেই বেশি পছন্দ করেন। প্রচলিত প্রথানুযায়ী তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে পোষ্য পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। এ জন্য তাঁকে যায়েদ বিন মুহাম্মাদ (সা.) বলে ডাকা হতো। পরে সে প্রথা শরিয়তে রহিত হয়।
তথ্যঋণ : আর রাহিকুল মাখতুম ও নবীয়ে রহমত