ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা মা-বাবা চাননি অপু বিশ্বাস পৃথিবীতে আসুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের বৈঠক, যেসব বিষয়ে আলোচনা হলো ট্রাম্পের জন্য রেখে যাওয়া চিঠিতে যা লিখেছেন বাইডেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলেই কী ঘটেছিল, ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক রিফাত মালয়েশিয়া যেতে না পেরে বিক্ষোভ, মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান ১০ তলা থেকে পড়ে প্রাণ গেল সম্রাটের শাহীন চাকলাদারের ৪ বছর কারাদণ্ড জানালেন বেবিচক চেয়ারম্যান বিমানে বোমা থাকার ‘খবর’ এসেছিল পাকিস্তানি নম্বর থেকে তামিমের শতকছোঁয়া ইনিংসে জয় পেয়ে চার নম্বরে ঢাকা

আমাদের কুঁড়েঘর

লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের লিটল হাউস অন প্রেইরি উপন্যাসের দিকে যতবার চোখ যায়, ততবারই ঘাসের প্রান্তরে একটা ছোট্ট কুটিরের কথা মনে পড়ে। মনে হয় যেন নিজের গাঁয়ের মাঠেই আছে এমন কুড়েঘর। আসলেই আছে। যুগ যুগ ধরে।

তবে শুধু দুদণ্ড শান্তি খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয় না সেগুলো।বাংলাদেশে ছিঁচকে চোরের অভাব কোনো দিনই ছিল না, এখনো নেই। মাঠের আমটা, কাঁঠালটা, কলাটা চুরি হবেই। সেটা ঠেকাতে হলে করতে হবে পাহারার ব্যবস্থা।

এ জন্য ফসলি খেতের মাঝখানে এখনো দেখা যায় কুঁড়েঘর। কলাবাগান বা আমবাগানে ফল পাকার কাছাকাছি সময় একজন পাহারাদার রাখেন বাগান মালিক। পাহারাদার রাতে এখানেই ঘুমায়, এখানেই খায়।
মাঠে শ্যালো পাম্প পাহারা দেওয়ার জন্যও কুঁড়ে ঘর বানানো হয়।
তবে বেশিরভাগই টিন দিয়ে।কুঁড়েঘর সাধারণত বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়। বাঁশের মাচার ওপর চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে কুঁড়েঘর বানানো হয়, যাতে সাপ-শিয়ালের মতো প্রাণীগুলো সহজে কুঁড়েঘরে হানা দিতে না পারে। এর বেড়া ও ছাউনিগুলো তৈরি হয় বাঁশ, পাটখড়ি কিংবা তালপাতা দিয়ে।

মাছ পাহারা দেয়ার জন্যও কুঁড়েঘর বানায় মানুষ।

যেখানে মাছের চাষ হয়, জলাশয়ের কিনারে এমনকি জলাশয়ের ওপরেও কুঁড়েঘর দেখা যায়। এগুলোকে জলটুঙ্গি বলে। মাঠের কুঁড়েঘরের মতো এই কুঁড়েঘরও মাচার ওপর বেশ খানিকটা উঁচুতে বানানো হয়।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা

আমাদের কুঁড়েঘর

আপডেট টাইম : ০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের লিটল হাউস অন প্রেইরি উপন্যাসের দিকে যতবার চোখ যায়, ততবারই ঘাসের প্রান্তরে একটা ছোট্ট কুটিরের কথা মনে পড়ে। মনে হয় যেন নিজের গাঁয়ের মাঠেই আছে এমন কুড়েঘর। আসলেই আছে। যুগ যুগ ধরে।

তবে শুধু দুদণ্ড শান্তি খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয় না সেগুলো।বাংলাদেশে ছিঁচকে চোরের অভাব কোনো দিনই ছিল না, এখনো নেই। মাঠের আমটা, কাঁঠালটা, কলাটা চুরি হবেই। সেটা ঠেকাতে হলে করতে হবে পাহারার ব্যবস্থা।

এ জন্য ফসলি খেতের মাঝখানে এখনো দেখা যায় কুঁড়েঘর। কলাবাগান বা আমবাগানে ফল পাকার কাছাকাছি সময় একজন পাহারাদার রাখেন বাগান মালিক। পাহারাদার রাতে এখানেই ঘুমায়, এখানেই খায়।
মাঠে শ্যালো পাম্প পাহারা দেওয়ার জন্যও কুঁড়ে ঘর বানানো হয়।
তবে বেশিরভাগই টিন দিয়ে।কুঁড়েঘর সাধারণত বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়। বাঁশের মাচার ওপর চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে কুঁড়েঘর বানানো হয়, যাতে সাপ-শিয়ালের মতো প্রাণীগুলো সহজে কুঁড়েঘরে হানা দিতে না পারে। এর বেড়া ও ছাউনিগুলো তৈরি হয় বাঁশ, পাটখড়ি কিংবা তালপাতা দিয়ে।

মাছ পাহারা দেয়ার জন্যও কুঁড়েঘর বানায় মানুষ।

যেখানে মাছের চাষ হয়, জলাশয়ের কিনারে এমনকি জলাশয়ের ওপরেও কুঁড়েঘর দেখা যায়। এগুলোকে জলটুঙ্গি বলে। মাঠের কুঁড়েঘরের মতো এই কুঁড়েঘরও মাচার ওপর বেশ খানিকটা উঁচুতে বানানো হয়।