ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যা বললেন ওমর সানী

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজঅনার মামলায় নায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে। জানা যায়, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক লাখ ছয় হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

এদিকে মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর নায়িকার স্বামী নায়ক ওমর সানী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু এই কয় টাকার জন্য মৌসুমী বা ওমর সানী কেউই দেশ ছেড়ে পালাবে না।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক লাখ ছয় হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইনজীবী আবু আল নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা হয়েছে। এ মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতি মাসে এক লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যাবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি।

যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে।সানী বলন, এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দিই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে তারা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। উল্টো মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু মৌসুমী বা ওমর সানী এত অল্প কিছু টাকার জন্য দেশ ছেড়ে পালাবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যা বললেন ওমর সানী

আপডেট টাইম : ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজঅনার মামলায় নায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে। জানা যায়, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক লাখ ছয় হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

এদিকে মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর নায়িকার স্বামী নায়ক ওমর সানী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু এই কয় টাকার জন্য মৌসুমী বা ওমর সানী কেউই দেশ ছেড়ে পালাবে না।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এক লাখ ছয় হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইনজীবী আবু আল নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা হয়েছে। এ মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতি মাসে এক লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যাবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি।

যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে।সানী বলন, এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দিই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে তারা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। উল্টো মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু মৌসুমী বা ওমর সানী এত অল্প কিছু টাকার জন্য দেশ ছেড়ে পালাবে না।