ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বাংলাদেশে তারকাদের প্রত্যাশা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। শোবিজ তারকারা কী ভাবছেন নতুন করে তৈরি হতে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে, কী তাঁদের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের কাছে? অনুলিখন করেছেন শিহাব আহমেদ

একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়
—সিয়াম আহমেদ, অভিনেতা
দেশটা এখন অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের পথগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে। আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এখন যদি আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ করি, তাহলে আমাদের পিছিয়ে যাওয়াটা আরও দীর্ঘায়িত হবে। এখন পেছানোর সময় নয়, একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়। এই অবস্থা থেকে দ্রুততম সময়ে বের হয়ে আসতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে এই আন্দোলন সার্থক হবে না। সামনের সময়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন নতুন এক বাংলাদেশের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, আগে এই দায়িত্ব শুধু সরকারের ছিল। নাগরিকদের অংশগ্রহণ ওয়েলকামিং ছিল না। কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে, শহর পরিষ্কার করছে। অভিভাবকেরাও তাদের সাপোর্ট করছেন। রাতে অনেক এলাকায় সহিংসতা বন্ধে সর্বসাধারণ নেমে পড়েছে। নিজেরা দলবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছে। একটি প্রজন্মের এ রকম পলিটিক্যালি জাগ্রত হয়ে যাওয়া কিন্তু মিরাকেল। সব সময় এমনটা হয় না। এটা কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা স্বচ্ছ ইমেজ আছে মানুষের মনে। তাঁরা যেন তাঁদের সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান—সেটাই প্রত্যাশা।

মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে এগিয়ে যাব
—মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্মাতা
আমাদের এখানে একটা গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। এখন আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন—এগুলোকে সংস্কারের ব্যবস্থা করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এই সরকারের প্রথম কাজ হবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। আন্দোলনের সফলতার পর আইনশৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়েছে। চারদিকে নৈরাজ্যের কথা শোনা যাচ্ছে। আইনের শাসনকে শক্ত করে তুলতে হবে, যাতে কেউ এই সফল আন্দোলনের অপব্যবহার না করতে পারে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দেবেন। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবেন তাঁরা—এটাই আশা আমাদের। বাংলাদেশে মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, প্যাগোডা থাকবে, গির্জা থাকবে, বোরকা থাকবে, জিনস থাকবে—সবকিছুই থাকবে বহুজনের এই সমাজে। আশার কথা, আমাদের তরুণসমাজের মধ্যে আমি এ বিষয়ে সচেতনতা দেখতে পাচ্ছি। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাব।

এই সরকার যেন আমাদের স্বপ্নের দিকে নিয়ে যায়

—রায়হান রাফী, নির্মাতা
দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক হোক, মানুষ শান্তিতে ঘুমাক। পুলিশ কাজে ফিরুক, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ফিরে যাক, মানুষ শান্তিতে অফিস করুক, ব্যবসা-বাণিজ্য করুক। মানুষ যেন দ্রুত স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারে। আর যেন কোনো দুর্নীতি না হয়। আমরা সবাই যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, এই সরকার যেন সেই স্বপ্নের দিকে নিয়ে যায়। রাজনীতির ওপর মানুষের যে অশ্রদ্ধা জন্ম নিয়েছে, সেটা যেন দূর হয়। নির্মাতা হিসেবে আমার চাওয়া, সেন্সর বোর্ডের নিয়ম নতুন করে সাজানো হোক। মাত্রই তো তারা কাজ শুরু করল, তাই প্রথমেই সব দাবি জানাতে চাই না। সবকিছু গুছিয়ে নিতে তাদেরকেও সময় দেওয়া প্রয়োজন।

শিল্পচর্চায় সেন্সরশিপ চাই না
—আশফাক নিপুন, নির্মাতা
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমার দাবি থাকবে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চার। গণমাধ্যম আসলে জনগণের কথা বলে। কিন্তু আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমকে হয় ভয় দেখিয়ে, না হয় সুবিধা দিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে গেছে সরকার। হাতে গোনা কয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া সবাই লেজুড়বৃত্তি সংবাদ পরিবেশন করেছে। একটা সাম্যবাদী সরকার গঠনের যে স্বপ্ন দেখছি, তা পূর্ণতা পাবে যদি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করা যায়।
নির্মাতা হিসেবে আমার চাওয়া, সব ধরনের সেন্সরশিপ যেন নির্মূল করা হয়। পৃথিবীর কোথাও কোনো সেন্সর বোর্ড নেই, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড আছে। তারা একটি গ্রেডিং করে দেয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেটা চালু করা হোক। সিনেমাটি তারা দেখবে কি দেখবে না, সেই বিচার করার দায়িত্ব দর্শকদের দেওয়া হোক। শুধু সিনেমা নয়, যেকোনো ধরনের শিল্পচর্চায় সেন্সরশিপ চাই না। এ ছাড়া ওটিটি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি হয়েছিল। যেটার সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু সাংঘর্ষিক ছিল। যেটাতে আমাদের মুখ চেপে ধরা হতে পারে, আমাদের কনটেন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। সেই নীতিমালা যেন অবশ্যই রোধ করে দেওয়া হয়। নীতিমালা যদি তৈরি করতে হয়, সেটা যেন নির্মাতা ও শিল্পীদের স্বার্থের নীতিমালা হয়। সেটা যেন সরকারের স্বার্থের নীতিমালা না হয়। এ ছাড়া, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা হোক।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে
—সাবিলা নূর, অভিনেত্রী
দেশের অনেক জায়গায় নৈরাজ্য চলছে। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সব ধর্মের, সব বিশ্বাসের মানুষ যেন প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারে, তার জন্য সমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভিন্নমতের হলেই কাউকে যেন কুক্ষিগত করে না রাখা হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। সবাই যেন নিজেদের কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন, সেগুলো যেন করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি প্রয়োজন। আমাদের দেশের অন্যতম বড় চিন্তার বিষয় দুর্নীতি। আমি চাইব অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি রোধে কাজ করবে। এখন থেকে কাউকে যেন কোনো কাজে ঘুষ দিতে না হয়। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলন করেছিল ছাত্ররা। নতুন সরকার নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করুক।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নতুন বাংলাদেশে তারকাদের প্রত্যাশা

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। শোবিজ তারকারা কী ভাবছেন নতুন করে তৈরি হতে যাওয়া বাংলাদেশ নিয়ে, কী তাঁদের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের কাছে? অনুলিখন করেছেন শিহাব আহমেদ

একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়
—সিয়াম আহমেদ, অভিনেতা
দেশটা এখন অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের পথগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে। আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এখন যদি আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ করি, তাহলে আমাদের পিছিয়ে যাওয়াটা আরও দীর্ঘায়িত হবে। এখন পেছানোর সময় নয়, একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়। এই অবস্থা থেকে দ্রুততম সময়ে বের হয়ে আসতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে এই আন্দোলন সার্থক হবে না। সামনের সময়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন নতুন এক বাংলাদেশের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, আগে এই দায়িত্ব শুধু সরকারের ছিল। নাগরিকদের অংশগ্রহণ ওয়েলকামিং ছিল না। কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে, শহর পরিষ্কার করছে। অভিভাবকেরাও তাদের সাপোর্ট করছেন। রাতে অনেক এলাকায় সহিংসতা বন্ধে সর্বসাধারণ নেমে পড়েছে। নিজেরা দলবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছে। একটি প্রজন্মের এ রকম পলিটিক্যালি জাগ্রত হয়ে যাওয়া কিন্তু মিরাকেল। সব সময় এমনটা হয় না। এটা কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা স্বচ্ছ ইমেজ আছে মানুষের মনে। তাঁরা যেন তাঁদের সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান—সেটাই প্রত্যাশা।

মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে এগিয়ে যাব
—মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্মাতা
আমাদের এখানে একটা গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। এখন আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন—এগুলোকে সংস্কারের ব্যবস্থা করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এই সরকারের প্রথম কাজ হবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। আন্দোলনের সফলতার পর আইনশৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়েছে। চারদিকে নৈরাজ্যের কথা শোনা যাচ্ছে। আইনের শাসনকে শক্ত করে তুলতে হবে, যাতে কেউ এই সফল আন্দোলনের অপব্যবহার না করতে পারে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দেবেন। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবেন তাঁরা—এটাই আশা আমাদের। বাংলাদেশে মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, প্যাগোডা থাকবে, গির্জা থাকবে, বোরকা থাকবে, জিনস থাকবে—সবকিছুই থাকবে বহুজনের এই সমাজে। আশার কথা, আমাদের তরুণসমাজের মধ্যে আমি এ বিষয়ে সচেতনতা দেখতে পাচ্ছি। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাব।

এই সরকার যেন আমাদের স্বপ্নের দিকে নিয়ে যায়

—রায়হান রাফী, নির্মাতা
দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক হোক, মানুষ শান্তিতে ঘুমাক। পুলিশ কাজে ফিরুক, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ফিরে যাক, মানুষ শান্তিতে অফিস করুক, ব্যবসা-বাণিজ্য করুক। মানুষ যেন দ্রুত স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারে। আর যেন কোনো দুর্নীতি না হয়। আমরা সবাই যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, এই সরকার যেন সেই স্বপ্নের দিকে নিয়ে যায়। রাজনীতির ওপর মানুষের যে অশ্রদ্ধা জন্ম নিয়েছে, সেটা যেন দূর হয়। নির্মাতা হিসেবে আমার চাওয়া, সেন্সর বোর্ডের নিয়ম নতুন করে সাজানো হোক। মাত্রই তো তারা কাজ শুরু করল, তাই প্রথমেই সব দাবি জানাতে চাই না। সবকিছু গুছিয়ে নিতে তাদেরকেও সময় দেওয়া প্রয়োজন।

শিল্পচর্চায় সেন্সরশিপ চাই না
—আশফাক নিপুন, নির্মাতা
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমার দাবি থাকবে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চার। গণমাধ্যম আসলে জনগণের কথা বলে। কিন্তু আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমকে হয় ভয় দেখিয়ে, না হয় সুবিধা দিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে গেছে সরকার। হাতে গোনা কয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া সবাই লেজুড়বৃত্তি সংবাদ পরিবেশন করেছে। একটা সাম্যবাদী সরকার গঠনের যে স্বপ্ন দেখছি, তা পূর্ণতা পাবে যদি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করা যায়।
নির্মাতা হিসেবে আমার চাওয়া, সব ধরনের সেন্সরশিপ যেন নির্মূল করা হয়। পৃথিবীর কোথাও কোনো সেন্সর বোর্ড নেই, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড আছে। তারা একটি গ্রেডিং করে দেয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেটা চালু করা হোক। সিনেমাটি তারা দেখবে কি দেখবে না, সেই বিচার করার দায়িত্ব দর্শকদের দেওয়া হোক। শুধু সিনেমা নয়, যেকোনো ধরনের শিল্পচর্চায় সেন্সরশিপ চাই না। এ ছাড়া ওটিটি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি হয়েছিল। যেটার সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু সাংঘর্ষিক ছিল। যেটাতে আমাদের মুখ চেপে ধরা হতে পারে, আমাদের কনটেন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। সেই নীতিমালা যেন অবশ্যই রোধ করে দেওয়া হয়। নীতিমালা যদি তৈরি করতে হয়, সেটা যেন নির্মাতা ও শিল্পীদের স্বার্থের নীতিমালা হয়। সেটা যেন সরকারের স্বার্থের নীতিমালা না হয়। এ ছাড়া, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা হোক।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে
—সাবিলা নূর, অভিনেত্রী
দেশের অনেক জায়গায় নৈরাজ্য চলছে। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সব ধর্মের, সব বিশ্বাসের মানুষ যেন প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারে, তার জন্য সমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভিন্নমতের হলেই কাউকে যেন কুক্ষিগত করে না রাখা হয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। সবাই যেন নিজেদের কথা স্পষ্টভাবে বলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন, সেগুলো যেন করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি প্রয়োজন। আমাদের দেশের অন্যতম বড় চিন্তার বিষয় দুর্নীতি। আমি চাইব অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি রোধে কাজ করবে। এখন থেকে কাউকে যেন কোনো কাজে ঘুষ দিতে না হয়। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলন করেছিল ছাত্ররা। নতুন সরকার নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করুক।