ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা: দ্রুত আপিল শুনানির আবেদন

আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল দ্রুত শুনানি করতে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল আসামিদের পক্ষে এ আবেদন করেন

এদিকে মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এরপর বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও দু’জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।

পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। এর পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকে জেল আপিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৫ হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার রায়ে ছয় জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ৩০ আসামির মধ্যে নিম্ন আদালতে মোট ২৮ জনের দণ্ড হয় এই মামলায়। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এসব আসামির মধ্যে ১৭ জন কারাগারে ও ৯ জন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া দুজন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্থানীয় এক জনসভায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার। এরপর বিচারিক আদালতে রায়ের পর মামলাটি হাইকোর্টে শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আপিল আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা। এরপর থেকে আপিল বিভাগের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা: দ্রুত আপিল শুনানির আবেদন

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল দ্রুত শুনানি করতে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল আসামিদের পক্ষে এ আবেদন করেন

এদিকে মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এরপর বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও দু’জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।

পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। এর পাশাপাশি আসামিদের পক্ষ থেকে জেল আপিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৫ হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হয়। মামলার রায়ে ছয় জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ৩০ আসামির মধ্যে নিম্ন আদালতে মোট ২৮ জনের দণ্ড হয় এই মামলায়। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এসব আসামির মধ্যে ১৭ জন কারাগারে ও ৯ জন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া দুজন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্থানীয় এক জনসভায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার। এরপর বিচারিক আদালতে রায়ের পর মামলাটি হাইকোর্টে শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আপিল আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা। এরপর থেকে আপিল বিভাগের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।