ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেহদানের সিদ্ধান্ত নিলেন ঋতুপর্ণা

পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহদানের খবর শুনে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেহদানের।

গত ৮ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জীবদ্দশায় নিজের দেহদান করে দেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। দেহদান করার কারণে বুদ্ধদবের মৃতদেহটি কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ দাহের পরিবর্তে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ খবরে অনুপ্রাণিত হয়ে ঋতুপর্ণা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ফুপু, ফুপা একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।‘

মুখ্যমন্ত্রীর শেষ যাত্রায় অংশগ্রহনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী গাড়ি কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে ওনার গাড়ির কাছে পৌঁছালাম।‘

বুদ্ধদেব সম্পর্কে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। আর প্রচণ্ড রসিক। কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। ওনার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দেহদানের সিদ্ধান্ত নিলেন ঋতুপর্ণা

আপডেট টাইম : ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গের সদ্য প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহদানের খবর শুনে টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেহদানের।

গত ৮ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। জীবদ্দশায় নিজের দেহদান করে দেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। দেহদান করার কারণে বুদ্ধদবের মৃতদেহটি কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ দাহের পরিবর্তে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ খবরে অনুপ্রাণিত হয়ে ঋতুপর্ণা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ফুপু, ফুপা একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।‘

মুখ্যমন্ত্রীর শেষ যাত্রায় অংশগ্রহনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের পথে। আমার জন্য শববাহী গাড়ি কয়েক মুহূর্তের জন্য থামানো হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে ওনার গাড়ির কাছে পৌঁছালাম।‘

বুদ্ধদেব সম্পর্কে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত। আর প্রচণ্ড রসিক। কথায় কথায় বেশ মজা করতেন। ওনার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছি। যতবার সামনাসামনি হয়েছি, হাসিমুখে কথা বলেছেন।