ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা

দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (১১ থেকে ১৫ আগস্ট) বিভিন্ন সূচকের উত্থান ও পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন হয়েছে। সেইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে, আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) ডিএসই-সিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৫১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০.৯৭ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬.৬২ পয়েন্ট বা ২.১৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৭৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়া সূচক ১০.১৯ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৫৪.৪৮ পয়েন্ট বা ১০.৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৫টির, দর কমেছে ২৭৮টির ও দর অপরিবর্তিত আছে ১৫টির। লেনদেন হয়নি ১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৮৭৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩১.৮০ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসই’র অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই নডেক্স) ১.২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৪৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১০টির।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে (১১ থেকে ১৫ আগস্ট) বিভিন্ন সূচকের উত্থান ও পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন হয়েছে। সেইসঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে, আলোচ্য সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) ডিএসই-সিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৫১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০.৯৭ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৬.৬২ পয়েন্ট বা ২.১৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৭৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়া সূচক ১০.১৯ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১৫৪.৪৮ পয়েন্ট বা ১০.৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৫টির, দর কমেছে ২৭৮টির ও দর অপরিবর্তিত আছে ১৫টির। লেনদেন হয়নি ১৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১২ হাজার ৮৭৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩১.৮০ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসই’র অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স ১.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই নডেক্স) ১.২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৪৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৭০টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১০টির।