ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার প্রভাবে চালের দাম আরো বাড়ল

বন্যার প্রভাবে সরবরাহ সংকটসহ নানা অজুহাতে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাজারে অনেক পণ্যের দাম আগের তুলনায় কমলেও উল্টো পথে হাঁটছে চাল। এতে বিপদে পড়েছে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষসহ মধ্যবিত্তরাও।

চাল বিক্রেতাদের দাবি, ত্রাণের জন্য বাড়তি চাহিদা তৈরি হলেও মিল থেকে পর্যাপ্ত চাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাইকারিতে দাম বেড়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ অবস্থায় দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে খোলাবাজারে বিক্রি বাড়াতে হবে। কারণ এবার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

বাজারে নজরদারি জোরদারের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার চিকন চাল মানভেদে ৭৪ থেকে ৮২ টাকায় এবং ভালো মানের মোটা চাল ব্রি-২৮ কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্তের চাল হিসেবে পরিচিত এই ব্রি-২৮ চাল দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮ টাকায় পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স ঢাকা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সায়েম হোসাইন জানান, বন্যার অজুহাতে মিলাররা সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিল পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই বিক্রেতা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সরু চাল (মিনিকেট) ৪.৩৫ শতাংশ, মাঝারি চাল ২.৬৮ শতাংশ এবং মোটা চাল ২.৮৮ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাড্ডা বাজারের মুদি দোকানদার হানিফ বলেন, ‘গত কয়েক দিনে চালভেদে কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা করে দাম বেড়েছে। পরিচিত কাস্টমাররা চালের দাম শুনে বিরক্তি প্রকাশ করছে। বিষয়টি তারা বিশ্বাসই করছে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বন্যার প্রভাবে চালের দাম আরো বাড়ল

আপডেট টাইম : ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বন্যার প্রভাবে সরবরাহ সংকটসহ নানা অজুহাতে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাজারে অনেক পণ্যের দাম আগের তুলনায় কমলেও উল্টো পথে হাঁটছে চাল। এতে বিপদে পড়েছে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষসহ মধ্যবিত্তরাও।

চাল বিক্রেতাদের দাবি, ত্রাণের জন্য বাড়তি চাহিদা তৈরি হলেও মিল থেকে পর্যাপ্ত চাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাইকারিতে দাম বেড়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ অবস্থায় দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে খোলাবাজারে বিক্রি বাড়াতে হবে। কারণ এবার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

বাজারে নজরদারি জোরদারের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার চিকন চাল মানভেদে ৭৪ থেকে ৮২ টাকায় এবং ভালো মানের মোটা চাল ব্রি-২৮ কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্তের চাল হিসেবে পরিচিত এই ব্রি-২৮ চাল দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮ টাকায় পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স ঢাকা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সায়েম হোসাইন জানান, বন্যার অজুহাতে মিলাররা সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিল পর্যায়ে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই বিক্রেতা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সরু চাল (মিনিকেট) ৪.৩৫ শতাংশ, মাঝারি চাল ২.৬৮ শতাংশ এবং মোটা চাল ২.৮৮ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাড্ডা বাজারের মুদি দোকানদার হানিফ বলেন, ‘গত কয়েক দিনে চালভেদে কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা করে দাম বেড়েছে। পরিচিত কাস্টমাররা চালের দাম শুনে বিরক্তি প্রকাশ করছে। বিষয়টি তারা বিশ্বাসই করছে না।