ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলন্ত জিপ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া

সালটা ছিল ২০০৩। ‘খাকি’ ছবির শুটিং করছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। ছবিতে অক্ষয় কুমার, তুষার কাপুর, অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যরাও ছিলেন। তখনও অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার তেমন কোনো যোগাযোগ হয়নি। নাসিকে চলছিল ছবির শুটিং। একটি দৃশ্যে চলন্ত জিপে থাকার কথা ছিল ঐশ্বরিয়ার। সেই অনুযায়ী জিপে ওঠেন অভিনেত্রী। কিন্তু এক সময় ভারসাম্য হারিয়ে অভিনেত্রী ছিটকে পড়ে যান।

তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছিল নায়িকাকে। যদিও সেই সময় গাড়ি থামাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অক্ষয় কুমার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ ততক্ষণে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে একাধিক চোট পান ঐশ্বরিয়া। পায়ের একটা অংশে গুরুতর আঘাত লাগে। ওই সময় ঐশ্বরিয়ার এমন দুর্ঘটনা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন অমিতাভ।

সেই সময় অমিতাভ নাকি ঐশ্বরিয়ার মায়ের সম্মতি নিয়ে রাতারাতি তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাও আবার অনিল আম্বানীর ব্যক্তিগত বিমানে।

ওই ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বলেন, আসলে ওই ঘটনা দেখার পর টানা দুই দিন দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সব সময় ওই ঘটনাটাই ভাসত চোখের সামনে। ঐশ্বরিয়ার পিঠ ক্যাকটাসের কাঁটায় আটকে গিয়েছিল। সেই দৃশ্য ভয়ংকর। সারা শরীরে অসংখ্য গুরুতর চোট পেয়েছিল।

যদিও সকলের তৎপরতায় তড়িঘড়ি মুম্বাই নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয় ঐশ্বর্যার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন অভিনেত্রী। এই ঘটনার প্রায় চার বছর পর বচ্চন পরিবারের বৌ হন ঐশ্বরিয়া।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চলন্ত জিপ থেকে ছিটকে পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

সালটা ছিল ২০০৩। ‘খাকি’ ছবির শুটিং করছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। ছবিতে অক্ষয় কুমার, তুষার কাপুর, অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যরাও ছিলেন। তখনও অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার তেমন কোনো যোগাযোগ হয়নি। নাসিকে চলছিল ছবির শুটিং। একটি দৃশ্যে চলন্ত জিপে থাকার কথা ছিল ঐশ্বরিয়ার। সেই অনুযায়ী জিপে ওঠেন অভিনেত্রী। কিন্তু এক সময় ভারসাম্য হারিয়ে অভিনেত্রী ছিটকে পড়ে যান।

তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছিল নায়িকাকে। যদিও সেই সময় গাড়ি থামাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অক্ষয় কুমার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ ততক্ষণে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে একাধিক চোট পান ঐশ্বরিয়া। পায়ের একটা অংশে গুরুতর আঘাত লাগে। ওই সময় ঐশ্বরিয়ার এমন দুর্ঘটনা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন অমিতাভ।

সেই সময় অমিতাভ নাকি ঐশ্বরিয়ার মায়ের সম্মতি নিয়ে রাতারাতি তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাও আবার অনিল আম্বানীর ব্যক্তিগত বিমানে।

ওই ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বলেন, আসলে ওই ঘটনা দেখার পর টানা দুই দিন দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সব সময় ওই ঘটনাটাই ভাসত চোখের সামনে। ঐশ্বরিয়ার পিঠ ক্যাকটাসের কাঁটায় আটকে গিয়েছিল। সেই দৃশ্য ভয়ংকর। সারা শরীরে অসংখ্য গুরুতর চোট পেয়েছিল।

যদিও সকলের তৎপরতায় তড়িঘড়ি মুম্বাই নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয় ঐশ্বর্যার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন অভিনেত্রী। এই ঘটনার প্রায় চার বছর পর বচ্চন পরিবারের বৌ হন ঐশ্বরিয়া।