ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় দাম কমছে

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করাতে দাম কমছে পেঁয়াজের। গত দু’দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে আমদানি-কারকরা। এর ফলে কমছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দিনাজপুর হিলি পাইকারি বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি পাইকারি বাজারের আড়তদার শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১শ’ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৫ টাকা কমে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলিস্থল বন্দর খুঁচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দু’দিন ভারত থেকে নতুন শুল্কায়নে পেঁয়াজ আমদানির ফলে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে আসলে স্বস্তি ফিরবে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। গতকাল বুধবার দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরিফুল আলম বলেন, দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দামের কোন ঠিক নাই।

প্রতিদিন কোন পণ্যের দাম কমে আবার কোনটার বাড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তবে আগে উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং করত। ভোক্তা অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিং করতে আসত। কিন্তু এখন সেটাও করে না। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। কিছু ব্যবসায়ী নিজের খেয়াল খুশি মতো বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। একারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ভারত থেকে নতুন শুল্কায়নে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে দাম কিছুটা কমছে। আমরা বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১শ’ টাকা কেজি এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। আমদানি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরোও কমতে পারে বলেও জানান এই বিক্রেতা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। সেই সঙ্গে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ৪০৫ মার্কিন ডলার করেছে। এতে করে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করলে এবং দামও কমে যাবে। হিলিস্থল বন্দর কাস্টমসের উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় ৪ ট্রাকে ১শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং পরশু মঙ্গলবার ১২৩ মেট্রিক টনসহ গত দু’দিনে ২২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা আমদানি করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।এই আমদানি কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় দাম কমছে

আপডেট টাইম : ০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করাতে দাম কমছে পেঁয়াজের। গত দু’দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে আমদানি-কারকরা। এর ফলে কমছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দিনাজপুর হিলি পাইকারি বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি পাইকারি বাজারের আড়তদার শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১শ’ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৫ টাকা কমে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলিস্থল বন্দর খুঁচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দু’দিন ভারত থেকে নতুন শুল্কায়নে পেঁয়াজ আমদানির ফলে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে আসলে স্বস্তি ফিরবে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। গতকাল বুধবার দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরিফুল আলম বলেন, দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দামের কোন ঠিক নাই।

প্রতিদিন কোন পণ্যের দাম কমে আবার কোনটার বাড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তবে আগে উপজেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং করত। ভোক্তা অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিং করতে আসত। কিন্তু এখন সেটাও করে না। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। কিছু ব্যবসায়ী নিজের খেয়াল খুশি মতো বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। একারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ভারত থেকে নতুন শুল্কায়নে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে দাম কিছুটা কমছে। আমরা বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১শ’ টাকা কেজি এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। আমদানি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরোও কমতে পারে বলেও জানান এই বিক্রেতা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। সেই সঙ্গে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ৪০৫ মার্কিন ডলার করেছে। এতে করে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করলে এবং দামও কমে যাবে। হিলিস্থল বন্দর কাস্টমসের উদ্ভিদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় ৪ ট্রাকে ১শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং পরশু মঙ্গলবার ১২৩ মেট্রিক টনসহ গত দু’দিনে ২২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা আমদানি করেছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।এই আমদানি কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।