আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক দুই মন্ত্রীর আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁরা হলেন—সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ মঙ্গলবার দুদকের কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসের আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজ নামে গাজীপুরের জয়দেবপুরে ৩ তলা ও ২ তলা দুটি ভবন নির্মাণ করেছেন। তাঁর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গাজীপুরের বিভিন্ন মৌজায় ৬৯১ দশমিক ০৮ শতক জমি এবং ১০১ দশমিক ৪৮৫ শতক অকৃষি জমি রয়েছে তাঁর নামে। মন্ত্রী থাকাকালে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেছেন মর্মে দুদক জানতে পেরেছে। তাঁর নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।
এছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, সিলেট-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে উত্তরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটসহ ৫ কাঠা জমি, নিকুঞ্জ আ/এ ৩ কাঠা জমির মালিকানা অর্জন করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নাহিদের ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু কামাল আহমদের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে ঠিকাদারদের থেকে কোটি কোটি টাকা কমিশনের বিনিময়ে হাতিয়েছেন মর্মে জানতে পেরেছে দুদক। নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয় দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।