ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যে কারণে চাকরি ছাড়লেন শহিদ আবু সাঈদের ২ ভাই আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ ট্রাম্পের নতুন ‘সীমান্ত জার’ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবেন জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর

বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শেষ হলো বিএনপির র‌্যালি

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে বিএনপির র‌্যালি সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় র‌্যালি শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে বিএনপি।

এদিন রাজধানীর নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাপ্তির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর দিবসটি পালন করে বিএনপি। দলীয়ভাবে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অফিসের দিন থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র‌্যালি করেছে বিএনপি।

বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার ৮টি জেলার নেতাকর্মী ও আপমর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতিদ্রুত সংস্কার ও অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারবো।’

ফখরুলের বক্তব্যে যখন র‌্যালির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দেন, তখনও র‌্যালি চলছিল। এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ গেট এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিপুল জমায়েতে ভরে ওঠে।

র‌্যালির শেষপর্বে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও  তিনি স্থানীয় সময়ে জুমার নামাজে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

এসময়,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজকে মূলত শোডাউন করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে  যুবদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। নেতাকর্মীদের বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করেন রাখেন পুরো সময়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে বিরতিহীন স্লোগানে মেতেছেন নেতাকর্মীরা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন শহিদ আবু সাঈদের ২ ভাই

বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শেষ হলো বিএনপির র‌্যালি

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে বিএনপির র‌্যালি সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় র‌্যালি শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে বিএনপি।

এদিন রাজধানীর নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাপ্তির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর দিবসটি পালন করে বিএনপি। দলীয়ভাবে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অফিসের দিন থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র‌্যালি করেছে বিএনপি।

বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার ৮টি জেলার নেতাকর্মী ও আপমর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতিদ্রুত সংস্কার ও অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারবো।’

ফখরুলের বক্তব্যে যখন র‌্যালির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দেন, তখনও র‌্যালি চলছিল। এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ গেট এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিপুল জমায়েতে ভরে ওঠে।

র‌্যালির শেষপর্বে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও  তিনি স্থানীয় সময়ে জুমার নামাজে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

এসময়,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজকে মূলত শোডাউন করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে  যুবদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। নেতাকর্মীদের বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করেন রাখেন পুরো সময়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে বিরতিহীন স্লোগানে মেতেছেন নেতাকর্মীরা।